কখনো ভেবেছেন, মানুষ কেন আপনাকে পাত্তা দেয় না?
সবাই কেবল আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
দেশে করোনা নাই অথচ সবাই আপনার থেকে এতো ডিসট্যান্স মেনটেইন করে চলে কেন?
চলুন তবে এগুলোর উত্তর খুঁজি–**
মোটাদাগে, দুটো ইমোশন আমাদের জীবনকে কন্ট্রোল করে,
১। রাগ ২। একাকীত্ব
কীভাবে?
বলছি…
রাগ:
রাগ আসলে কখনই হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসে না। এটা মাটির নিচে জমে থাকা লাভার মতো, আস্তে আস্তে চাপ তৈরি করে এবং একসময় পুরো জীবনটাকেই পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।
যেখানে সেখানে, যখন তখন রেগে যাওয়া যাদের স্বভাব তাদের জীবনটা যে কত কষ্টের তা একমাত্র তারাই জানে।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, ৮৪% মানুষ তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ফলে লাইফে এমন সব ডিসিশন নিয়েছেন যা তাদের জন্য সারাজীবনের আফসোসের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
রাগ এমনই এক আগুন যার শুরু হয় ছোটখাট তর্ক দিয়ে আর শেষ হয়:
প্রিয়জন ছেড়ে চলে যায়,
অফিসের প্রমোশন আটকে যায়,
চাকরি চলে যায়,
বন্ধুবান্ধব সবাই এড়িয়ে চলে,
পরিবার ও সমাজ একঘরে করে রাখে।
একাকীত্ব:
একাকীত্ব মানে যে শুধু একা হয়ে যাওয়া নয়। একাকীত্ব মানে ভীড়ের মাঝে থেকেও শূন্য অনুভব করা। এগুলো মনে হওয়া শুরু হয়:
“আমার কেউ নেই”,
“সবার বিপদে আমি পাশে থাকলেও আমার বিপদে কাউকে পাশে পাইনা”
“সবাই আমাকে ইনগোর করে”
একাকীত্ব এমনই এক ইমোশন যেটা আমাদেরকে ভেতর থেকে একেবারে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়, ভেতরটা শূন্য করে ফেলে। গবেষণা বলছে, একাকীত্ব ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর, যা আমাদের আয়ু দশ বছর কমিয়ে দিতে পারে।
মানুষ বাঁচে-ই বা কদিন, এর মধ্যে যদি দশ বছর নাই হয়ে যায় তাহলে আর থাকে কদিন?
আপনার জীবনের রাগ আর একাকীত্বের গল্পগুলো শুনার মতো কেউ কি আছে?
যাকেই শেয়ার করতে যান বলে আরে এগুলো আর এমন কী!
কেউ কেউ তো বলে “নাটক কম করো পিও”
আমাদের দেশে এই ইমোশন গুলো নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়না, এক্ষেত্রে সেলফ-ডেভেলপমেন্ট লেখায় বিশেষভাবে পরিচিত লেখক ‘’ওয়াহিদ তুষার’’ ভিন্নমাত্রা যোগ করছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার ভিত্তিতে লিখেছেন দুইটি বই।
১. রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন
২. একা থাকতে শিখুন
বইগুলো থেকে আপনি শিখবেন?
- রাগের জন্মস্থান চেনা ও কীভাবে রাগকে পজিটিভ এনার্জিতে কনভার্ট করা যায়।
- কীভাবে একা থেকে নিজের বেস্ট ভার্সন খুঁজে বের করা যায়।
- কীভাবে রাগকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর রোডম্যাপ বানানো যায়।
- একাকীত্ব থেকে আসা ভয়ংকর ফিলিংসগুলো অভারকাম করে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা যায়।
- যখন তখন মুখ ফসকে বের হওয়া রাগের আগুনকে কীভাবে পজিটিভলি ব্যবহার করা যায়
- একাকীত্বকে কীভাবে নিজের ইউনিক স্টাইল হিসেবে প্রেজেন্ট করা যায়।
আপনার সামনে এখন দুটো অপশন:
১। জীবনটা যেভাবে চলছে চলতে দিন
২। বইগুলো পড়ে, কৌশলগুলো এপ্লাই করে জীবন বদলে দিন।
জীবন বদলাতে আজই অর্ডার করুন
Reviews
There are no reviews yet.