মেলার প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন? জেনে নিন প্রোডাক্ট ডিসপ্লেসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে

বর্তমানে উদ্যোক্তা মেলা বা ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে মেলা খুব জনপ্রিয়। আগের মতো পুরো শপ নিয়ে ব্যবসা করাটা অনেক ক্ষেত্রেই রিস্কি হতে পারে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য, সে তুলনায় ২-৫ দিনের মেলা বা ডিসপ্লে বেশ ভালো অপশন। মেলায় পরিচিতি বাড়ে এবং অনেকেই অনলাইনে তাদের দেখা পছন্দের জিনিস মেলায় এসে সরাসরি দেখে পছন্দ করে কিনতে পারেন, তাই বিক্রেতাদের সাথে সাথে ক্রেতারাও এসব ধরনের মেলা খুব পছন্দ করেন।আজকের আর্টিকেল হচ্ছে বিক্রেতাদের জন্য। মেলা করার ক্ষেত্রে বিক্রেতাদের বেশ কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হয়। একটা মেলাকে সফল করার জন্য, সেল ও পরিচিতি দুটোই বাড়ানোর জন্য ফলো করা যায় বেশ কিছু টিপস। মেলায় একটা লম্বা সময় জিনিসপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, কাজেই যেন সময়ের ম্যাক্সিমাম ইউটিলাইজ হয় সেভাবেই সারাদিনের শিডিউল সাজালে ব্যাপারগুলো অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এখানে থাকছে কিছু টিপস যা আপনার মেলা করতে এবং সেল বাড়াতে আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করবে।

মেলার প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে

১। প্রেজেন্টেশন

যেকোনো মেলাই হোক বা ফিজিক্যাল শপ, প্রেজেন্টেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। কারণ মানুষের মনে প্রথম প্রভাবটা কিন্তু আপনার প্রেজেন্টেশনই ফেলছে। সামনে থেকে দেখে নেবেন, ভাববেন আপনি ক্রেতা হলে কী ভাবতেন? কোন কোন জিনিস প্রথমেই আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করত? কীভাবে সাজালে আপনার ভালো লাগতো বা কীভাবে সাজানো দেখে বিরক্ত হতেন? মেলার গ্যাদারিংগুলোয় সাধারণত খুব বেশি স্পেস থাকে না, এক পাশে একটা শেলফ আর সামনে একটা বড় টেবিলমতো জায়গা পাওয়া যায় খুব বেশি হলে। এইটুকু জায়গার মধ্যেই কীভাবে আপনি ম্যাক্সিমাম ইউটিলাইজ করবেন, কীভাবে আপনার স্টার প্রোডাক্টগুলো স্পেশালভাবে শো করবেন তা নির্ভর করছে আপনার উপরেই। ঠিকভাবে সাজিয়ে নিতে পারলে তা দৃষ্টিনন্দন যেমন হবে, তেমনি ক্রেতাদের আপনার স্টলের দিকে আকৃষ্ট করবে। নিজের বিজনেস এর ব্যানার বা সাইনবোর্ড ব্যবহার করুন, এতে ক্রেতারা স্টল আলাদা করতে পারবে আর আপনার বিজনেস এথিককে প্রফেশনাল বানাবে।

মেলার প্রস্তুতি

২। খুচরো টাকা রাখা

এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। বেচাকেনা যখন অনলাইনে হয় আর পেমেন্ট ক্যাশলেস হয়, তখন এটা বড় কোনো ঝামেলা না হলেও সরাসরি আদান প্রদানের ক্ষেত্রে খুচরো টাকা একটা বড় সমস্যা। ক্রেতার কাছে প্রায়ই ঠিক সমান অ্যামাউন্টের খুচরো থাকবে না, এটা জানা কথাই। আবার খুচরোর জন্য এদিক ওদিক স্টল রেখে দৌড়ানোও ঝামেলা। তাই সেল শুরু হওয়ার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খুচরো জমিয়ে নেয়া ভালো, সবচেয়ে ভালো হয় কিছুদিন আগে ব্যাংকে বা কোথাও গিয়ে বড় টাকার নোট ভেঙে খুচরো করে নিয়ে এলে। আপনার খুচরো কত এড হল সেটার অবশ্যই হিসাব রাখবেন, না হলে বিক্রির লাভের সাথে নিজের আগে থেকে জমানো টাকা গুলিয়ে যাবে।

৩। আয়না রাখা

এমন কি কখনো হয়েছে, যে কোনো একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে, কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না আপনাকে কেমন দেখাবে, তাই কেনাও হলো না? আপনি একা নন, ক্রেতারাও এটা ভাবেন। তাই, স্টলে অবশ্যই একটা আয়না রাখুন। আয়নার সাইজ আপনার পণ্য অনুযায়ী হতে পারে, শাড়ি কাপড় বা জুতা হলে হাফ বা ফুল আয়না রাখতে পারেন, গয়নাগাটি, প্রসাধনী বা ছোট্ট টিপ হলে হাতে ধরা আয়নাই চলবে৷ সুন্দর একটা আয়না রাখলে সেটা আপনার স্টলকে সুন্দর করবে, আপনার রুচির পরিচিয় দেবে, ক্রেতারাও নিজেদের দেখতে পেয়ে খুশি হবেন।

৪। প্রাইস ট্যাগ ব্যবহার

যত কঠিনই হোক, আগে থেকে প্রতিটা প্রোডাক্ট অবশ্যই প্রাইস ট্যাগড করে রাখবেন। এতে আপনার ও ক্রেতার দুইপক্ষেরই ঝামেলা কমবে। ক্রেতারা অনেক সময়ই দাম জিজ্ঞেস করতে চান না, অপ্রস্তুত বোধ করেন। হয়ত কৌতূহলী হলেও পাশ কাটিয়ে চলে যাবেন। তাই, প্রাইস ট্যাগ ব্যবহার করলে উভয়পক্ষেরই লাভ৷ যদি সব প্রোডাক্টের জন্য প্রাইস ট্যাগ বানানো সমস্যা হয়ে যায়, তাহলে একইধরনের একই দামের প্রোডাক্ট একসাথে রেখে প্রাইস ফ্ল্যাগ বা দেখতে সুন্দর প্রাইস কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। আরেকটা ভালো বুদ্ধি হচ্ছে নিজের বিজনেস কার্ডকে প্রাইস ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা, বা কার্ডের আদলে ট্যাগ ছাপিয়ে নেয়া। এতে পরিচিতিও বাড়ে, জিনিসটার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়, প্রফেশনালিজম বাড়ে।

মেলার প্রস্তুতি

৫। প্রচারেই প্রসার

মেলায় কিন্তু আপনি শুধু পণ্য বিক্রি করে লাভ করতেই যাচ্ছেন না, নিজের পণ্যের ও ব্যবসার পরিচিতি বাড়াতেও যাচ্ছেন৷ নিজের বিজনেস কার্ড অবশ্যই সাথে রাখতে হবে, অনেক ক্রেতা মেলায় পণ্য না কিনলেও বিজনেস কার্ড নিয়ে নেন, যাতে পরবর্তীতে প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন। এভাবে কার্ড বিলি করতে করতেই পরিচিতি বাড়ে। এছাড়াও বিজনেস স্টিকারস বানাতে পারেন, যা পন্যের সাথে ফ্রি হিসেবে দিতে পারেন। কার্ডের ডিজাইন ও লোগো অ্যাড করে কার্ডকে সুন্দর করতে পারেন, যা মানুষের মনে ভালো ভাইব দেবে।

৬। পণ্যের ধরন

মেলা করতে যাওয়ার আগে দুটো জিনিস বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে, এক হচ্ছে কী ধরনের পণ্য নেবেন, আরেক হচ্ছে সামনে কোনো উৎসব আছে কিনা। সাধারণত ছোটখাট পণ্যের বিক্রি বেশি হয়, কারণ এগুলোর দাম খুব বেশি হয় না, আর ক্রেতা ছোট একটা জিনিস নিয়ে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বুঝতে পারেন, তারপর বিশ্বাস করে বড় পণ্য নিতে পারেন। একই সাথে আপনার পন্য হতে হবে ইউনিক, যা সাধারণত মার্কেটে গেলেই পাওয়া যায় না। যেমন- আপনার নিজস্ব কাস্টম ডিজাইনে তৈরি পণ্য বা খাবার ইত্যাদি।

এছাড়াও সামনে কী উৎসব আয়োজন আছে এটা খেয়াল করে যদি পণ্য সাজান আর স্টক করেন তাহলে সেল বাড়ার একটা ভালো সম্ভাবনা থাকে। যেমন- জানুয়ারিতে মেলা করলে ফেব্রুয়ারিতে ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষ্যে অনেকে চকলেট, গিফট কার্ড, ছোটখাট উপহার কেনেন যাতে লালের আধিক্য থাকে। আবার মার্চ এর দিকে হলে অনেকে পহেলা বৈশাখের কেনাকাটাটা ওখান থেকেই করে নিতে চান। এভাবে ঈদ, পূজো এসব অকেশনের আগেও মেলা হলে মানুষ সে অনুযায়ী কেনাকাটা করেন, আপনিও সেই চাহিদা বুঝেই স্টক করলে আপনার সেল ভালো হবে, তা ধরেই নেয়া যায়।

৭। ম্যানিকুইন বা প্রপ

পণ্যের ডিসপ্লে এর জন্য ম্যানিকুইন বা প্রপ খুবই জরুরি। একটা ফ্ল্যাট সারফেসে আপনি আপনার সব পণ্য বিছিয়ে রেখে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন না, সেজন্য আপনার স্টলকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজাতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রপ, শেলফ, ম্যানিকুইন খুব ভালো কাজ করে। পোশাক জাতীয় পণ্য স্ট্যান্ডিং শেলফ আর ম্যানিকুইন এ সাজানো যায়, ছোট পণ্যের জন্য বিভিন্ন ছোট শেলফ বা শোকেস। উচ্চতা ও আলোর সঠিক ব্যবহার করুন, বিভিন্ন উচ্চতা ও রঙ অনুযায়ী লেভেল করে পণ্য সাজান, দেখতে সুন্দর লাগবে। আজকাল অনেকেই ছোটখাট পণ্যে দেশীয়ভাব আনতে  মাটির প্লেট, সুপারি পাতার প্লেট, বাঁশের ডালা কুলা ইত্যাদি ব্যবহার করেন, এতেও পণ্য দেখতে সুন্দর আর গোছানো লাগে।

ম্যানিকুইন

৮। অনলাইন পেমেন্ট

অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থা রাখুন। মেলা অফলাইনে হলেও অনেকেই ক্যাশ ক্যারি করতে পছন্দ করেন না নিরাপত্তার জন্য, সেক্ষেত্রে নগদ টাকার পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং যেমন- বিকাশ, নগদ এসবও অ্যাভেইলেবল রাখুন, সেল এর হার এতে বেড়ে যায় এবং কাস্টমার স্যাটিসফেকশন আসে। আপনার বিজনেস কার্ডে বা অ্যাডভার্টাইজ এর সময় প্রচার করুন অনলাইন পেমেন্ট অ্যাভেইলেবিলিটির কথা, ক্রেতার ও আপনার দুইজনেরই সুবিধা হবে।

৯। ডিসকাউন্ট, অফার, ফ্রিবি

মেলা উপলক্ষ্যে দিতে পারেন বিশেষ অফার বা ডিসকাউন্ট, মিনিমাম একটা এমাউন্টের পণ্য কেনায় এই ডিসকাউন্ট দিতে পারেন ক্রেতাকে। এছাড়াও কম্বো ও অফার রাখতে পারেন নির্ধারিত কিছু পণ্যের উপর। আপনার ব্যবসা যদি অনলাইনে জনপ্রিয় হয়ে থাকে, তাহলে আপনার অনেক পুরনো ক্রেতাই আপনাকে দেখতে বা পরিচিত হতে আসতে পারেন অফলাইন স্টলে, তাদের জন্য রাখতে পারেন ফ্রিবিস বা ছোট গিফট। একটু বেশি ইন্টারেস্টিং করতে লটারি, সারপ্রাইজ বা মিস্ট্রি বক্সের আয়োজন ও করা যায়। এতে ক্রেতাও আনন্দ পান, আপনার কথা তার ভালো করে মনে থাকে, আপনার সেল হয় এবং পরিচিতিও বাড়ে। বলা যায় একের মাঝে অনেক!

১০। ক্রেতার প্রতি মনোযোগ

মেলায় দাড়িয়ে পূর্ণ মনোযোগ আপনার ক্রেতাদেরই দিন, মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকা ক্রেতার চোখে ভালো দেখায় না। তার চেয়ে আশেপাশে দেখুন, অন্যান্য স্টলের উদ্যোক্তাদের সাথে পরিচিত হোন কথা বলুন, ক্রেতার প্রশ্নের জবাব ও প্রয়োজনে সাজেশন দিন। ক্রেতার কোনো কৌতূহল থাকলে মেটান, পণ্যের রঙ এর সাজেশন, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, আর কী কী সাইজে অ্যাভেইলেবল আছে এসব জানান। মোট কথা অ্যাটেনটিভ ও অ্যাকটিভ থাকুন, এক কোণায় পড়ে মনোযোগ হারাবেন না। এতে আপনার নেটওয়ার্কিংও হবে, ক্রেতাও খুশি হবে।

মেলা

১১। রেকর্ড ও ফিডব্যাক

এইটার জন্য আপনার কাগজ এবং কলমের দরকার হবে। প্রতিটা সেল হওয়ার সাথে সাথে খাতায় লিখে রাখুন, পণ্যের বিবরণ, সেল প্রাইস, কোন সাইজ বা কালার সেল হলো এভাবে নির্দিষ্ট করে রেকর্ড রাখুন, এ থেকে পরে পরিষ্কার ধারণা পাবেন। এটা ছাড়াও সারাদিন কী কী অভিজ্ঞতা হলো এটার উপর একটা ফিডব্যাক লিখে রাখতে পারেন যেটা পরবর্তীতে আপনাকে হেল্প করবে। কোন জিনিসটা সবচেয়ে বেশি সেল হলো, মানুষ কোন কালার পছন্দ করছে, কোন আইটেমের চাহিদা বেশি, ভিড় কেমন হচ্ছে এলাকা অনুযায়ী, ক্রেতারা পজিটিভ বা নেগেটিভ কি লিখছেন ইত্যাদি। এই হিসাবগুলো আপনার পরবর্তীতে কাজে লাগবে এবং এ অনুযায়ী প্রিপারেশন নিতে পারবেন। পরবর্তী মেলায় কাজও আগেরবারের চেয়ে গোছালো আর পরিপাটি হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যা মনে রাখতে হবে-

১. মেলার প্রস্তুতি মেলার অন্তত একমাস আগে থেকে নেয়া শুরু করতে হবে, যাতে আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রোডাক্ট আর গুছিয়ে নেওয়ার সময় থাকে। শেষ মুহুর্তে তাড়াহুড়ো করে অনেক কিছুই মিস করে যেতে পারেন যা পরে সমস্যা বাড়াবে।

২. একা স্টলে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকাটা খুবই কষ্টের, আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন বা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। কাস্টমারের প্রেসার বেশি হলে একা সামাল দেয়া কষ্টও হয়ে যায়। কর্মচারী নিন একজন বা সম্ভব না হলে বন্ধুবান্ধবী কাউকে সাথে নিন।

৩. সারাদিন যেখানে থাকতে হবে, খাবার আর পানির ব্যবস্থা আছে কিনা জেনে নিন। না থাকলে পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার আর পানি নিজেকেই নিয়ে নিতে হবে। এছাড়া আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে মেলা ইনডোর না আউটডোর সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়ে নিতে হবে।

৪. নির্ধারিত সময়ের আগে অবশ্যই চলে যাবেন। প্রোডাক্ট, প্রপ, ডিসপ্লে এসব সেট আপ করতে সময় লাগে। দেরি করলে কাস্টমাররা চলে আসতে আসতে সেটাপ করলে সেটা ভালো লাগবে না, প্রফেশনাল মনে হবে না। এছাড়াও লেট এ শুরু করার কারণে সেল কমে যাবে। তাই, যতটা সময় দরকার হাতে নিয়ে যথাসম্ভব আগে যাবার চেষ্টা করুন।

৫. আরামদায়ক কিন্তু স্মার্ট কাপড়চোপড় পরুন, একটা লম্বা সময় থাকতে হবে যেহেতু, জবরজং অস্বস্তিকর কাপড়চোপর পড়লে নিজেরই খারাপ লাগবে। আপনার নিজের বিজনেস কাপড়ের বা গয়নার হলে নিজের প্রোডাক্ট পরতে পারেন।

৬. যেসব জিনিস অবশ্যই খেয়াল করে আগে আগে নিয়ে নিতে হবে— প্যাকেজিং সামগ্রী, কাগজ-কলম, খুচরো টাকা, কাঁচি, হ্যান্ডমেড আইটেম হলে কিছু কাঁচামাল, বিজনেস কার্ড, মোবাইল ফোন, হালকা খাবার আর পানি, জরুরি কিছু বেসিক ওষুধপত্র ইত্যাদি।

জানাতে পারেন আপনাদের কোনো মেলার অভিজ্ঞতা, ক্রেতা বা বিক্রেতা হিসেবে, বা অন্য কোনো টিপস থাকলে তাও বলতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *