ইন্টারনেটের দুনিয়া এখন এত বিস্তৃত যে কোনো একটা বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য সার্চ করলে সেটার হাজারও অপশন আসে। কিন্তু এই অপশন আবার বেশি বড় হলে পাঠক পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৭৫% শতাংশ মানুষ শর্ট আর্টিকেল পড়তে চায়, বিশেষ করে সেটা যদি ১০০০ শব্দের নিচে হয় তাহলে বেশি ভালো। অল্প সময়েই তারা অনেক তথ্য জানতে চায়। বেশি বড় আর্টিকেল পড়ার চেয়ে অল্পতে মূল বিষয়টুকু জেনে তারা আশ্বস্ত হয়। অন্যদিকে সার্চ রেজাল্টে সামনে আসার জন্য গুগল চায় লেখা বড় হোক। শুধু লেখা বড় হলেই যে র্যাংকিং এ উপরে থাকা যাবে ব্যাপারটি এমন নয়, এর সাথে আরও অনেক বিষয় যদিও আছে। গুগলের কাজ হচ্ছে ব্যবহারকারী যেটা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে সেটা সম্পর্কে তাদের জানানো। গুগল চায় না ব্যবহারকারী যেটা জানতে চাচ্ছে সেটা সম্পর্কে কম জানুক। তাহলে একইসাথে লেখা বড় না হওয়া আবার গুগলকেও খুশি রাখা কীভাবে সম্ভব? ঠিক এখানেই কাজ করা শুরু করে মাইক্রোব্লগিং। চলুন জেনে নেই মাইক্রোব্লগিং কী এবং ব্যবসার প্রসারে কীভাবে এটি কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
মাইক্রোব্লগিং কী?
মাইক্রোব্লগিং ব্লগ পোস্টের শর্ট ফর্ম। এটা সাধারণত লেখা হয় সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য। ৩০০ শব্দের মধ্যে লং ক্যাপশন লেখা হয় এখানে। এই ধরনের কন্টেন্টে পাঠকের আগ্রহ বেশি থাকে, শেয়ারও করা যায় সহজে। আবার সব ধরনের কন্টেন্টই যে মাইক্রোব্লগিং তা নয়। ব্লগ বা ওয়েবসাইটের চেয়ে ছোট করে অল্প কথায় বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে লিখে বোঝানোটাই মাইক্রোব্লগিং।
মাইক্রোব্লগিং কীভাবে ইফেক্টিভ হতে পারে?
- যে টপিকটি খুব বেশি সার্চ করা হয় না অথচ ভাইরাল হওয়ার সুযোগ রয়ে যায়।
- মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে আপনি চাচ্ছেন আপনার তথ্যগুলো সংযুক্ত হতে থাকুক।
- বর্তমান পরিস্থিতি বা লাইফ ইভেন্টের সাথে সম্পর্কিত কন্টেন্ট।
মাইক্রোব্লগিং কীভাবে এলো?
মাইক্রোব্লগিং সম্পর্কে আপনি হয়ত এখন জানতে পেরেছেন। খুব বেশিদিন ধরে এর চর্চা হচ্ছে এমন নয়। তবে এটা একদম নতুনও নয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই এটি নিয়ে কাজ হচ্ছে। ২০০৬ সালে এটি সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। সে বছরের মার্চ মাসে ফেসবুক তাদের স্ট্যাটাস আপডেট করে। এর কয়েক মাস পর, টুইটার আসে ১৪০ শব্দের মধ্যে পোস্ট করার বার্তা নিয়ে।
তখন থেকে অনেক মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম যেমন এসেছে, তেমন চলেও গিয়েছে। যারা এখনও টিকে আছে, তারা কিছু অন্যান্য বিষয়ে প্রাধান্য দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এখন তো ভার্চুয়ালি সোস্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো শর্ট টার্ম কন্টেন্টগুলো বেশি ব্যবহার করছে।
রেগুলার ব্লগিং এর চেয়ে মাইক্রোব্লগিং কেন আলাদা?
এটা অনেকের কাছে কিছুটা কনফিউজিং লাগতে পারে। অনেক বিজনেস ওনারদের মতো আপনিও হয়ত ভাবতে পারেন, মাইক্রোব্লগ রেগুলার ব্লগের মতোই। দুটোর মধ্যে কয়েকটি ভিন্নতা রয়েছে। চলুন জেনে নেই এগুলো সম্পর্কে।
ব্লগ কেমন হয়?
১) রেগুলার ব্লগ সাধারণত ১০০০ বা তার চেয়ে বেশি শব্দের হয়।
২) ব্লগ অনেকটা আর্টিকেলের মতো হয়। মাল্টিপল হেডলাইন, প্যারাগ্রাফ, বুলেট বা নাম্বার লিস্ট, ছবি, লিংক, রঙিন টেক্সট থাকে।
৩) ব্লগ সাধারণত বিজনেস ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়।
৪) ব্লগ সাধারণত সপ্তাহে বা দুই সপ্তাহে ১ বার পাব্লিশ করা হয়। এটা ডিপেন্ড করে যিনি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করছেন তার উপর।
৫) রেগুলার ব্লগ পাব্লিশ হওয়ার আগে রিসার্চ, লেখা, এডিট এর জন্য বেশ খানিকটা সময় নেয়।
৬) ব্লগ ডিজাইন করা হয় ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার জন্য, কাস্টমারকে জানানোর জন্য, নিজের অথরিটি তৈরি করার জন্য। আর এজন্য ফানেলও তৈরি করতে হয়।
৭) যে ওয়েবসাইটে ব্লগগুলো পাব্লিশ করা হয়, এসবের স্বত্বাধিকার তারই থাকে।
মাইক্রোব্লগিং কেমন হয়?
১) মাইক্রোব্লগ সাধারণত ৩০০ শব্দ বা তার চেয়ে কম হয়।
২) মাইক্রোব্লগ কয়েকটি প্যারাগ্রাফ বা লিস্টে ভাগ করা হতে পারে। সাথে লিংক, ভিডিও বা প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটও হতে পারে।
৩) মাইক্রোব্লগ বিজনেসের সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে পোস্ট করা হয়। যেমন- টুইটার, লিংকড ইন, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি।
৪) দিনে বা সপ্তাহে যে কোনো সময় যতবার খুশি আপলোড করা যায়।
৫) একটা মাইক্রোব্লগ পাব্লিশ করার জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে।
৬) সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় অল্প সময়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য মাইক্রোব্লগ ব্যবহার করা হয়। এগুলোতে ভ্যালু প্রোভাইড হয়, ওয়েবসাইটে পোটেনশিয়াল কাস্টমাররা আসে।
৭) মাইক্রোব্লগস সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে আপলোড করার পর স্বত্ব আপনার হলেও শর্ত পূরণ না হলে সেটা ডিলিটও হতে পারে।
কী কী উপকার আছে এতে?
শুধু যদি বলা হয় কন্টেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন আর প্রোডিউস করা মানেই মাইক্রোব্লগিং, তাহলে বোধহয় ভুল বলা হবে। কারণ এর রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বেনিফিটস।
১) সহজেই বানানো যায়
মাইক্রোব্লগ মিনিটেই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে যখন আপনার ভাবনায় কোনো টপিক থাকবে, তখন সেটা নিয়ে লেখা সহজ হয়। কোম্পানি চাইলে একটা রেগুলার ব্লগের জায়গায় বেশ কয়েকটি মাইক্রোব্লগ লিখে ফেলতে পারে। কারণ এতে অডিয়েন্সের সাথে নিয়মিত কানেক্টেড থাকা যায়। আর বেশি বেশি পোস্ট মানে বেশি বেশি এংগেজমেন্ট।
২) ফলোয়ারদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখে
মাইক্রোব্লগিং বেশ সহজ আর মজার এংগেজিং পদ্ধতি, যার মাধ্যমে অডিয়েন্সের সাথে যুক্ত থাকা যায়। লোকে সাধারণত বাইটের মতো কন্টেন্টগুলো পড়তে ও দেখতে চায়। আপনি যখন কাস্টমারকে কোম্পানি, অফার বা এই সম্পর্কিত টপিক নিয়ে মজার ছলে জানাবেন, তারাও আপনার সাথে যুক্ত হয়ে যাবে। তারাও বারবার দেখতে চাইবে আপনি তাদের জন্য নতুন কী এনেছেন।
৩) সুন্দরভাবে গল্প বলতে শেখায়
বেশিরভাগ মানুষই লম্বা সময় নিয়ে ব্লগ পড়তে চায় না, কিন্তু তারা ছোট ছোট লেখায় বেশি কানেক্টেড হয়, যেটা করে মাইক্রোব্লগিং। এর মাধ্যমে অডিয়েন্স আপনার ব্র্যান্ড ও সার্ভিস সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারে, বড় আর্টিকেল পড়ার চেয়ে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউজারদেরকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এংগেজ রাখা। এতে তারা যেমন সাথে থাকে, তেমনই অ্যাপ ছেড়ে চলেও যায় না।
৪) এংগেজমেন্ট বাড়ায়
মাইক্রোব্লগ বেশি এংগেজিং কারণ ট্র্যাডিশনাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের চেয়ে এগুলোর ভ্যালু বেশি। বড় ব্লগ পড়ার চেয়ে ছোট লেখা পড়ে সেগুলো লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করতেই বেশি পছন্দ করে বর্তমানের জেনারেশন। এতে যেমন রিচ বাড়ে, তেমনই এংগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়।
৫) অডিয়েন্স যেখানেই থাকুক দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানো যায়
বর্তমানে ফোন সাথে থাকে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতি ১০ মিনিটে সবাই তাদের ফোন চেক করতে থাকে। মাইক্রোব্লগিং সাধারণত মোবাইল ইউজারদের ক্ষেত্রে বেশি ভালো কাজ করে।
মাইক্রোব্লগিং এর জন্য কোন কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়?
গুগলের জন্যই যে মাইক্রোব্লগিং করতে হবে এমন নয়। এটার জন্য আলাদা আলাদা প্ল্যাটফর্ম আছে। সেগুলোতে লিখলে বেশি ভাল রেসপন্স পাওয়া যাবে। মাইক্রোব্লগিং এর কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে-
পিন্টারেস্ট
পিন্টারেস্ট হচ্ছে এমন একটি সার্চ ইঞ্জিন যেখানে মার্কেটাররা থিম অনুযায়ী কন্টেন্ট পোস্ট করতে পারে। এটা বেশ ভাল একটি প্ল্যাটফর্ম মাইক্রোব্লগিং এর জন্য, কারণ এখানে ছবি অ্যাড করা যায়, ভিডিও বানানো যায়, ক্যাপশন ব্রিফলি দেয়া যায়।
ইনস্টাগ্রাম
সাধারণত ছবি আর ভিডিওই প্রধান ছিল ইন্সটাগ্রামের জন্য। তবে ক্যাপশন অ্যাড করার পর থেকে বেশ বড় একটা পরিবর্তন দেখা গিয়েছে এখানে। এজন্য এই প্ল্যাটফর্মে মাইক্রোব্লগিং এখন বেশ পরিচিত হয়ে উঠছে। আগে কম শব্দে লেখা হলেও এখন ৬৫-৭০ শব্দ (৪০৫ ক্যারেক্টার) নিয়ে লেখা যায় এখানে। প্রায় ২২০০ ক্যারেক্টার নিয়ে কাজ করার সুযোগ এখানে আছে। তাই ব্যবসার প্রসারের জন্য ইনস্টাগ্রাম ক্যাপশন নিয়ে আপনি চাইলে ভাবতেই পারেন।
ফেসবুক
মাইক্রোব্লগারদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে ফেসবুক। এখানে প্রায় ৬৩,২০৬ ক্যারেক্টার নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। এর মানে হচ্ছে একটি পোস্টে চাইলে অনেক তথ্য একসাথে দেয়া সম্ভব। সেই সাথে ফেসবুকে গ্রুপ খুলেও মাইক্রোব্লগ করা যায়।
ফেসবুক স্টোরিকেও মাইক্রোব্লগ হিসেবে ব্যবহার করা যায় কারণ এখানে মাল্টিপল গ্রাফিকস একটা সিকুয়েন্সে অ্যাড করা যায় কারেন্ট ফলোয়ারদের জন্য। এই পোস্টগুলো স্লাইডশো হিসেবে সামনে আসে, এখন তো এগুলোতে মিউজিকসহ বিভিন্ন ইফেক্টও দেয়া যায়।
টুইটার
টুইটার বর্তমানে ‘X’ হিসেবে পরিচিত। এটাকেই অফিশিয়ালি প্রথম মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম বলা হয়। বোঝাই যাচ্ছে কেন আর কোন উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হয়। এখানে ২৮০ ক্যারেক্টার (১৪০ শব্দ) নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। এখানে বিভিন্ন লিংক, ইমেজ, ভিডিও নিয়েও মাইক্রোব্লগ করা যায়।
থ্রেডস
এই অ্যাপটাও মাইক্রোব্লগ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। এটাকে টুইটারের অল্টারনেটিভও বলা যায়। বর্তমানে থ্রেডসে ৫০০ ক্যারেক্টার এর পোস্ট শেয়ার করা যায়, সাথে দেয়া যায় ছবি, ভিডিও, জিআইএফ, লিংক। যেহেতু থ্রেড এখনও নতুন, তাই অথেনটিক, অর্গানিক কন্টেন্ট বানানোর জন্য ফোকাস করা জরুরি এখন থেকেই।
লিংকড ইন
এই সেক্টরে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে লিংকড ইনও। এটা বেশ ইউজার ফ্রেন্ডলি। এখানে ১৩০০ ক্যারেক্টার নিয়ে পোস্ট করা যায়। লিংকড ইন পাবলিশিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে লেখা যায় আর্টিকেলও।
টাম্বলার
টাম্বলারও এক্ষেত্রে খুব ভালো নাম করেছে। যদি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এখানে থাকে তাহলে তাদের জন্যও লং কপি পোস্ট বানাতে পারে। রিব্লগ ফিচারে পোস্ট শেয়ার করাও এখানে সহজ।
গুগল বিজনেস প্রোফাইল
আপনি কি জানেন আপনি চাইলে গুগল বিজনেস প্রোফাইলেও মাইক্রোব্লগিং করতে পারবেন? এখানে পোস্ট ক্রিয়েট করার জন্য ফিচার তৈরি করা আছে। আর এটার সুবিধা হচ্ছে এটি ব্যবহারে বোঝা যায় বিজনেস অ্যাকটিভ আছে কিনা। সেই সাথে এটি পোটেনশিয়াল কাস্টমার ধরে রাখে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন একটা হয়ত অ্যাকটিভ না, আবার একই সাথে লেটেস্ট কী হচ্ছে সেটা সম্পর্কেও জানতে চায়। এখানে ১৫০০ ক্যারেক্টার নিয়ে কাজ করা যায়। আপনি চাইলে অল্পতেও কাজ করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মে তিন ধরনের পোস্ট করা যায়।
- অফার
- আপডেট
- ইভেন্ট
মাইক্রোব্লগিং করার বেস্ট উপায়
এতক্ষণ তো মাইক্রোব্লগিং কী এবং কীভাবে করা যায় সেগুলো নিয়ে কথা হলো। এবার চলুন কীভাবে এটি করা যায় তার কয়েকটি বেস্ট অপশন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
১) সহজে বোঝা যায় এমন কন্টেন্ট বানানো
মাইক্রোব্লগিং মানে সেটা ছোট হবে। টেক্সট হিসেবে তো যাবেই, তবে খেয়াল রাখতে হবে এর টেক্সট কতটুকু হবে সেদিকে। লেখাকে ছোট ছোট বাক্যে ও প্যারাগ্রাফে ভাগ করা যায়, দেয়া যায় বুলেট, ইমোজি, এমন কিছু যেটা পড়তে ও দেখতে ভালো লাগে, সহজে পড়া যায়।
২) ভ্যালু ফোকাস করে
যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মাইক্রোব্লগিং এর কথা আসে, তখন খেয়াল রাখতে হয় ক্যাপশনে ইনফরমেশন যেন ভ্যালুয়েবল থাকে। এতে মানুষকে আপনি আপনার কন্টেন্টে বেশ কিছুটা সময় ধরে আগ্রহী করে রাখতে পারবেন।
৩) এন্টারটেইনিং হয়
বেস্ট মাইক্রোব্লগ বেশি ইন্টারেক্ট হয় এবং এন্টারটেইন করে, কারণ এগুলোতে ভ্যালু থাকে। তাই ব্র্যান্ডের সাথে ফিট করে এমন হিউমার ইউজ করুন। গ্রাফিকস, ছবি, মিমস, ভিডিও যে কোনো কিছু দিয়ে পোস্টে হিউমার তৈরি করা যায়। ইনফরমেটিভ ও একইসাথে এন্টারটেইনিং হলে লোকে পোস্ট নিয়ে আলোচনা করে, কথা বলে।
৪) ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা
এ ধরনের কন্টেন্ট আপনার ব্র্যান্ডকে শাইনি করে। তাই ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে ভয় পাবেন না। ব্র্যান্ডকে গ্রো হতে হেল্প করে এ ধরনের গল্প আপনি শেয়ার করতেই পারেন। দর্শককে আপনার সম্পর্কে জানান, যা তারা জানতে চায়। এতে তারা আপনার ব্র্যান্ডকে ভালোবেসে ফেলবে।
যেভাবে এই কাজগুলো করতে পারেন-
- কোম্পানির ভ্যালু সম্পর্কে জানান
- বিজনেসের পারসোনাল স্টোরি সম্পর্কে জানান, কীভাবে স্ট্রাগল পার করেছেন সেগুলো জানান
- বড় ক্যাপশন লেখার পেছনের গল্প জানান
- আপনি জানেন এমন মজার বা দরকারি তথ্য শেয়ার করুন
৫) লেগে থাকুন
এংগেজমেন্ট তখনই বাড়ে যখন একের পর এক পোস্ট সামনে আসতে থাকে। একটা মাইক্রোব্লগ পোস্ট করে এক মাস হারিয়ে যাবেন না। এমনকি এক সপ্তাহও না। নিয়মিত মাইক্রোব্লগিং পোস্ট করুন, দেখুন আপনার সম্পর্কে সবাই কত দ্রুত জেনে যায়।
মাইক্রোব্লগিং নিয়ে অনেকেই জানেন না, আবার যারা জানেন তারা বোঝেন না কীভাবে এটি করবেন বা এটি কী কাজে লাগে। আপনাদের বিস্তারিত জানালাম। আশা করি লেখাটি আপনাদের কাজে আসবে। So, Keep Microblogging and Grow Your Business.