অ্যাড কপি কীভাবে লিখলে কাস্টমারের নজর কাড়া সম্ভব?

“For sale: baby shoes, never worn.”

ছয় শব্দের বিখ্যাত এই গল্পটি লিখেছিলেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে। এটা একটা গল্প হলেও ছোট্ট এই লাইনটিই হয়ে উঠেছে অ্যাড কপিরাইটিং এর মাস্টারক্লাস। ছোট হলেও এর ব্যাপকতা বেশ বড়, শেষ অবধি এমন একটি ইমপ্রেশন ক্রিয়েট করে যে পাঠক পরের পৃষ্ঠা ওপেন করবেই। অ্যাডভার্টাইজার ও মার্কেটাররা অ্যাড তৈরি করার সময় এমনই কপি চান। আপনি যদি একজন কপিরাইটার হতে চান এবং লিখতে চান অ্যাড কপি, তাহলে আপনার জন্য রইলো কয়েকটি টিপস।

অ্যাড কপি রাইটিং কী?

অ্যাড কপিরাইটিং হচ্ছে বিজ্ঞাপনের জন্য বিশেষভাবে লেখা কপি। এগুলোতে নানা ধরনের অ্যাড, ফ্লায়ার, পোস্টার, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাড, মোবাইল অ্যাড ইত্যাদি থাকে। ক্রিয়েটিভের জন্য কতটুকু জায়গা আপনি পাচ্ছেন তার উপর ডিপেন্ড করেই সাধারণত কপি লেখা হয়, তবে এটা মূলত একদম ছোট করেই লিখতে হয়, মাত্র কয়েক শব্দে।

কপিরাইটারের কাজ হচ্ছে এমনভাবে কপি লেখা যেন সেটা ক্যাচি, ইউনিক আর মনে রাখার মতো হয়। বিশেষ করে সেটা যেন ব্র্যান্ডের সাথে কানেক্ট করা যায়। অনেক সময় কপি কোনো লেখা বা ছবিতে থাকলে সেখানে ক্লিক করলে ওয়েবসাইট ভিজিট করা যায়, কেনাকাটার অপশন আসে অথবা সোস্যাল মিডিয়াতে ফলো করা যায়।

মার্কেটিং এর দুনিয়ায় কপিরাইটিং বেশ এক্সাইটিং একটা জব হলেও বেশ চ্যালেঞ্জিংও বটে। শব্দ নিয়ে এখানে খেলতে হয়, সেই সাথে লোকের নজরে আসতে হয় মাত্র কয়েকটি শব্দ দিয়ে। কখনো হয়তো ১০ পেইজের কোনো একটি প্রোডাক্টের বর্ণনাকে মাত্র ৫ শব্দে বোঝানোর মতো কঠিন কাজটিও করতে হয়।

অ্যাড কপি

এত এত দায়িত্ব আছে ভেবে শুরুতেই ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও এই কাজে ক্রিয়েটিভিটিই সবচেয়ে বেশি কাজে আসে। আর আপনার মাঝে যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে, তাহলে কপিরাইটিং এর জগতে আপনি হয়ে উঠতে পারেন জনপ্রিয়। তবে এটা যেমন একদিনে হয় না, তেমনই না শিখে কাজে নামলেও ভালো করা যায় না। কার্ডিও শুরু করার আগে আমাদের যেমন বডি ওয়ার্ম আপ করে নিতে হয়, তেমনই অ্যাড কপি লেখার আগে কিছু পয়েন্ট মনে রাখতে হয়। সেগুলো নিয়েই আজ আমরা জানবো।

কপিরাইটিং ফাউন্ডেশন

১) প্রোডাক্টের হুক সম্পর্কে জানুন

আপনার পছন্দের কোনো না কোনো গান অবশ্যই আছে, তাই না? এটা আপনার প্রিয় হয়ত এ কারণে যে, আপনি মাথা থেকে এর কোনো না কোনো লাইন সহজে বের করতে পারছেন না। হয়ত গানের কোরাস আপনার ভালো লেগেছে, অথবা কোনো কথা, অথবা গানের শুরুটা। কনভিন্স আপনাকে যে অংশই করুক না কেন, সেটার জন্যই গানটা আপনার প্লেলিস্টে জায়গা করে নিয়েছে। আর এটাই গানের হুক।

প্রিয় গানের হুকের মতো, আপনি কী অফার করছেন, ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট নাকি সার্ভিস – সেটাই হুক। আপনাকে পরিষ্কার থাকতে হবে আপনার প্রোডাক্টকে কোন ব্যাপারটা ইউনিক করে তুলছে সে সম্পর্কে। যে অডিয়েন্সকে টার্গেট করছেন সেই অডিয়েন্স সময় দিয়ে এটা দেখবে বা টাকা দিয়ে কিনবে তো? কেন তাদের প্রতিদিনের জীবনে এটা প্রতি মুহূর্তে এটা মনে পড়তে থাকবে?

কোন বিষয়টি আপনার প্রোডাক্টকে ইউনিক করে তুলেছে সেটা একবার বুঝতে পারলে আপনি হুকে ফোকাস করতে পারবেন এবং কপিকে আরও জোরদার করে তুলতে পারবেন।

২) কম্পিটিটর সম্পর্কে জেনে রাখুন

আপনি যখন কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে দুনিয়ার সামনে উপস্থাপন করবেন, তখন আরও কারা কারা এ নিয়ে কাজ করছে তা ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি যা ভাবছেন তা নিয়ে অলরেডি অন্য কেউ কাজ করে ফেলেছে, যদি এমন হয়, তাহলে তারা সেটা কীভাবে জানলো? আপনার আর ওনাদের কাজ কি আসলেই এক রকম? আপনি কি প্রোডাক্টের মান ভালো করার জন্য আরও দারুণ কিছু করতে পারেন? প্রোডাক্ট ডেভেলপ এবং মার্কেটিং প্ল্যান করার সময় এই প্রশ্নের উত্তরগুলো জানা অবশ্যই জরুরি।

ধরা যাক, আপনি কিচেনওয়্যার বিক্রি করবেন। এখন আপনাকে জানতে হবে এই প্রোডাক্টের অন্যান্য ব্র্যান্ড কীভাবে এগুলো বিক্রি করছে এবং তারা কী কী অফার দিচ্ছে। সেগুলোর কি দাম কম? ডিজাইন সুন্দর? স্থায়িত্ব বেশি? কম্পিটিটরদের সম্পর্কে এসব তথ্য জানা থাকলে আপনি প্রোডাক্টের হুক সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। হুক বুঝলে কপি লেখাও দুর্দান্ত হয়, সেলও তুলনামূলকভাবে ভালো আসে।

আবার টার্গেট অডিয়েন্সও কিন্তু অন্যদের সাথে আপনার তুলনা করবে। তারা শুধু প্রোডাক্ট কিনেই চলে যাবে না। তারা দেখবে, চিন্তা করবে, আবার ফিরেও আসবে যদি আপনাকে তাদের ভালো লাগে। তাই অন্যদের সার্ভিস ও প্রোডাক্ট সম্পর্কেও আগে ভালোভাবে জেনে নিন এবং কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো সলভ করে নিন।

অ্যাড কপি

৩) অডিয়েন্স সম্পর্কে জানুন

টার্গেট অডিয়েন্স নিয়ে রিসার্চ করা কখনোই বন্ধ করা যাবে না। আমরা প্রায় সময়ই এমন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে ভাবি, যেগুলো আমাদের কাছে উপকারি মনে হয়। সেটা যে অডিয়েন্সের কাছেও ভালো লাগবে মোটেও তা নয়। যদি সেগুলো গুরুত্বপুর্ন হয়, তাহলে অবশ্যই কিছু না কিছু ফিচার এতে থাকবে।

আবারও সেই রান্নাঘরের উদাহরণে ফেরত যাওয়া যাক। আপনি হয়ত এমন মেজারিং স্পুন বিক্রি করতে চাচ্ছেন যেগুলো দেখতে খুবই লাক্সারিয়াস এবং অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশ মজবুতও। কিন্তু আপনার অডিয়েন্স হয়ত এগুলো কেনাতে আগ্রহী নয়। তারা হয়ত বোল বা ডিশ সহ স্পুন চাচ্ছে যেখানে ইনগ্রেডিয়েন্ট মেপে রাখাও যাবে। আপনাকে বুঝতে হবে কাস্টমার কী চাচ্ছে এবং কেন চাচ্ছে। তাহলে আপনার রিসার্চ প্রোপার হবে এবং তাদের সাথে কমিউনিকেশনও ঠিক থাকবে।

সার্ভে করার জন্য, সোশ্যাল মিডিয়া ফলো করুন, গুগল অ্যানালিটিকস রিভিউ করুন, সেলস টিমের সাথে কন্টাক্ট করুন। অডিয়েন্সের চাহিদা বোঝার জন্য অনেক অনেক মেথড আছে। রিসার্চ প্ল্যানের উপর ডিপেন্ড করে পরের সপ্তাহ বা মাসের জন্য কী কী করবেন তার প্ল্যান সাজিয়ে ফেলুন।

৪) মিডিয়াম ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানুন

আপনি কি প্রিন্ট অ্যাড বানাবেন নাকি ডিসপ্লে অ্যাড?

গুগল, লিংকড ইন, ফেইসবুক – কোথায় অ্যাডভার্টাইজিং করতে চাচ্ছেন?

যে মিডিয়াম বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে যাচ্ছেন, সেগুলোতে অ্যাডের সাইজ অ্যাডজাস্ট করতে হবে, তাহলে কপির উপর এফেক্ট পড়বে।

ধরা যাক, গুগল অ্যাডসেন্স ম্যাক্সিমাম রেজাল্ট পাওয়ার জন্য ৫টা টপ পারফর্মিং অ্যাড সাইজ রিকমেন্ড করেছে। এগুলোর সবগুলোই সাইজ ও শেইপ অনুযায়ী আলাদা। আপনার টেক্সট হয়ত চতুর্ভুজ আকারে দেখতে সুন্দর লাগছে, কিন্তু লিডারবোর্ডে লাগছে না। এখন আপনাকে প্রতি অ্যাডের জন্য আপনাকে বাছাই করে করে সুন্দর সুন্দর কপি লিখে অ্যাডজাস্ট করতে হবে।

মেটারও ফেইসবুক নিউজ ফিড অ্যাড স্পেসিফিকেশন আছে। তারা প্রাইমারি টেক্সট, হেডলাইন, ও ডেসক্রিপশনের জন্য ম্যাক্সিমাম ক্যারেক্টার কতগুলো হবে সেগুলো ইনক্লুড করে দেয়। নিউজফিডে যেন আপনার অ্যাড আসে সেজন্য আপনাকে আই ক্যাচি কপি তৈরি করতে হবে এবং সেটা তাদের দেয়া রিকমেন্ডেশন ফুলফিল যেন করে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। লিংকড ইনেও একই ধরনের অ্যাড স্পেসিফিকেশন স্পন্সরড কন্টেন্ট আছে।

মনে রাখবেন, প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম আলাদা আলাদাভাবে আপগ্রেড হয় এবং তাদের অ্যাড স্পেসিফিকেশন প্রায়ই বদলায়। তাই নিয়মিত সেগুলোতে নজর রাখতে হবে।

যদি আপনি অ্যাড প্রিন্ট করতে চান, তাহলে তাদের দেয়া সাইজ ও প্লেসমেন্ট ইকুয়েশন করে নিন।

৫) হেডলাইন – ডেসক্রিপশন – সিটিএ টেমপ্লেট ইউজ করুন

আপনি যদি কখনো কোনো কপি না লিখেন, তাহলে শুরুতেই জিজ্ঞেস করতে পারেন কপি আসলে দেখতে কেমন।

অ্যাড কপি

এটার মাত্র ৩টা অংশ আছে। হেডলাইন, ডেসক্রিপশন, সিটিএ টেমপ্লেট। এগুলোর আবার নিজ নিজ কাজ আছে।

হেডলাইন – অডিয়েন্সের অ্যাটেনশন ধরে রাখে

ডেসক্রিপশন – প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানায়

সিটিএ (CTA) – এটি মূলত Call For Action এর শর্ট ফর্ম। অডিয়েন্সকে নির্দিষ্ট কিছু একটা কেনানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো।

এই তিনটি বিষয়কে যদি আপনি একসাথে জোড়া দিতে পারেন, তাহলে শব্দগুলোও সাজিয়ে ফেলতে পারবেন। মজার শব্দ লিখতে ভয় পাবেন না। কখনো কখনো আপনার বলা একটি মাত্র শব্দ পুরো কপির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

আপনি চাইলে মাঝে মাঝে ডেসক্রিপশন স্কিপ করতে পারেন, যদি হেডলাইনে অলরেডি সব বলা হয়ে থাকে। আবার এমনও হতে পারে যে আপনি খুবই ইন্সপায়ার হয়ে হেডলাইনসহ এমন কিছু লিখলেন যেখানে ডেসক্রিপশনের দরকারই হলো না। মাথায় খুব বেশি প্রেশার নিয়ে যে এগুলো লিখতে হবে এমন নয়। চাইলে আপনি সবগুলো পার্ট দিয়ে লেখা শুরু করতে পারেন।

তবে সিটিএ ইনক্লুড করতে হবে যেভাবেই হোক। একবার যখন অডিয়েন্সের অ্যাটেনশন ক্যাপচার করে ফেলবেন, তখন যেভাবেই হোক তাতে আটকে থাকতে হবে। এখন আমাদের সামনে প্রতি মুহূর্তে হাজার হাজার অ্যাড আসে, তাই মানুষের নজর অল্পতেই সরিয়ে নেয়া সম্ভব – তাই আপনি যখন অ্যাড কপি লিখবেন তখন এমনভাবে লিখবেন যেন তাতে নজর আটকে থাকে।

৬) আইডিয়াগুলো হাতে লিখুন

আপনি যদি গুগলে হাতে লেখা বা টাইপ করার সুবিধা নিয়ে সার্চ করেন, তাহলে লাখ লাখ রেজাল্ট পাবেন। সবগুলোতেই দুটির সুবিধা নিয়ে বলা আছে। তবে যখন অ্যাড কপি লেখার কথা আসে, তখন হাতে লেখার সুব্দিহাই বেশি হয়। হাতে লেখার সময় মস্তিষ্ক ধীরে কাজ করে এবং আইডিয়াগুলো নিয়ে ভাবা যায়। আর চিন্তা যত পরিষ্কার হতে থাকে, তত ক্রিয়েটিভ আইডিয়া আসতে থাকে। এতে কপি আরও ইন্টারেস্টিং হয়।

নজরকাড়া অ্যাড কপি লিখবেন যেভাবে

এতক্ষণ তো আমরা জানলাম অ্যাড কপি ফাউন্ডেশন নিয়ে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক নজরকাড়া কপি লেখার উপায়গুলো সম্পর্কে। কাগজ কলম নিয়ে আপনি রেডি তো?

১) ক্লিকবেইট অ্যাভয়েড করুন

কোনোকিছু শেখার শুরুতেই অ্যাভয়েড করতে হবে এমন টপিক নিয়ে বলছি। তবে এটা জেনে রাখা খুবই জরুরি। মিসলিডিং দেয় এমন কিছু, অতিরঞ্জিত কোনো খবর, অ্যালার্মিং কোনো ইস্যু এগুলো অবশ্যই কপি রাইটিং এর ক্ষেত্রে অ্যাভয়েড করতে হবে। এই ম্যাসেজগুলো অডিয়েন্সের মনে নেতিবাচক অনুভূতি জাগায় এবং এতে আপনার ব্র্যান্ডের ক্ষতি হতে পারে। এসবের কারণে আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার বিক্রি বন্ধ হয়ে যাক।

অ্যাড কপি লিখতে হলে ক্লিকবেইট অ্যাভয়েড করুন

এটি বিশেষ করে তখন অ্যাভয়েড করা উচিত যখন আপনি নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন বা নতুন কোনো প্রোডাক্ট লঞ্চ করতে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণের জন্য ব্যাপারটা উপভোগ্য হলেও লং লাস্টিং এর জন্য ব্র্যান্ডের রেপুটেশন ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

২) বেনিফিটের দিকে ফোকাস করুন

শুধু প্রোডাক্টের ফিচারের দিকে নজর দিলেই হবে না। কী কী বেনিফিট দিচ্ছেন সেটার দিকেও খেয়াল রাখুন। আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দিচ্ছেন সেটা কতটুকু আলাদা, দেখতে কেমন, ব্যবহার করা কতটা সহজ – এই ফিচারগুলোর দিকে ভালোভাবে ফোকাস করুন। কারণ অডিয়েন্স দিন শেষে এটাই দেখবে।

আমরা যখন নতুন কোনো স্মার্টফোন কিনি বা কোনো সার্ভিসের জন্য সাবস্ক্রিপশন করি, লোকে ফ্যান্সি ফিচারের প্রতি খুব কমই আকৃষ্ট হয়। এর বদলে তারা বেনিফিটের দিকে বেশি আগ্রহী হয়। যখন আপনার অডিয়েন্স আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘আমার জন্য এখানে কী কী আছে?’ তখন তাকে কনভিন্স করার জন্য উত্তর আপনার রেডি রাখা উচিত। এজন্য হয়ত আপনি যে অ্যাড কপি লিখছেন, সেটা কিছুটা বোরিং হয়েছে। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। কখনো কখনো বোরিং লিখেও বিক্রি বাড়ানো সম্ভব।

৩) প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ছাড়া জীবন ভেবে দেখুন

পুরনো একটা কথা আছে। বলা হয়, ‘যতক্ষণ তোমার কাছ থেকে জিনিস চলে না যাবে, ততক্ষণ তুমি তার মর্যাদা বুঝবে না।’ কপিরাইটিং এর ক্ষেত্রে কথাটা সত্য। যদি আপনি প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বেনিফিট নিয়ে লিখতে না পারেন, তাহলে এটাকে অন্যভাবে ভেবে দেখুন।

ভেবে দেখুন, আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ছাড়া জীবন কেমন হতে পারে। বিশেষ করে, আপনার কাস্টমারের জীবন কেমন হবে? তারা কী কী মিস করবে? তারা কী কী নিয়ে স্ট্রাগল করতে পারে যা আপনার প্রোডাক্ট ফিক্স করতে পারে? এগুলো ছাড়া কী কী সমস্যা হতে পারে, সেটা যখন বুঝে যাবেন তখন আপনার জন্য অ্যাড কপি লেখাটা সহজ হয়ে যাবে।

৪) সহমর্মি হয়ে কথা বলুন

সহমর্মি হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা শুধু আমরা চাকরিজীবনেই না, ব্যক্তিগত জীবনেও শুনেছি। সহকর্মীদের মাঝে যেমন এটা খুবই গুরুত্ব বহন করে, তেমনই লিডার ও ম্যানেজারদের ক্ষেত্রে এটি একটি সফট স্কিল হিসেবে গণ্য হয়। শুধু একটু এমপ্যাথেটিক হলেই পরিবার, বন্ধু বা কাছের মানুষদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।

ঠিক এভাবেই টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর জন্য সহমর্মি হওয়া খুব প্রয়োজন।

আপনার প্রাইমারি গোল সব সময় এমন হওয়া উচিত যে কীভাবে অন্যের সমস্যা সমাধান করা যায় বা প্রয়োজন পুরণ করা যায়। আপনার তাদের প্রতি ফোকাস থাকতে হবে এবং তাদের নিশ্চিত করতে হবে এ আপনি তাদের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করবেন।

এটা করতে যেয়ে আপনি অডিয়েন্সের চাহিদা সম্পর্কে বুঝবেন। আর তখনই তাদের সাথে শব্দ দিয়ে কথা বলার সুযোগ তৈরি হবে।

নিচে দেয়া স্যামসাং এর এই ওয়ান ইয়ার স্মার্টফোন ওয়ারেন্টির অ্যাডটি খেয়াল করুন। দেখুন কপির শুরুতে কীভাবে বড় ফন্টে লেখা হয়েছে “We’ve got your back”। এই অ্যাডটি স্মার্টফোনের প্রয়োজনীয়তাও বোঝাচ্ছে, আবার শব্দ দিয়ে সাথে থাকার অঙ্গীকারও করছে।

আপনাকে যে এমন শব্দই ব্যবহার করতে হবে তা নয়। এমপ্যাথেটিক এবং সাথে থাকার প্রত্যয় নিয়ে যে কোনো শব্দ আপনি ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যবহার করতে পারেন।

৫) ৬ শব্দের গল্প লিখুন

৬ শব্দের যে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে অ্যাড কপি লিখতে পারাটা বেশ বড় একটা এক্সারসাইজের মতো। এটি আপনাকে বাধ্য করে জরুরি তথ্যগুলো একইসাথে ব্রিফ করতে, ক্যাচি করে তুলতে এবং মনে রাখতে।

যেহেতু এটা একটা এক্সারসাইজের মতো, তাই অদ্ভুত যে কোনো লেখা বা বোরিং কিছু লিখতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। মাঝে মাঝে আপনাকে ৫০ বারেরও বেশি ক্রিয়েটিভ এক্সারসাইজ করতে হতে পারে সঠিক সেই একটি লাইন বা আইডিয়া বের করার জন্য। তাই যতভাবে সম্ভব লিখুন, লেখার আনন্দ নিন।

৬) এলিভেটর পীচ লিখুন

আপনি সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন?

ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে এলিভেটর পিচ খুবই কমন একটি কনসেপ্ট। এটার মানে হচ্ছে স্টুডিও এক্সিকিউটিভকে সিনেমার কাহিনী বোঝানোর জন্য আপনার হাতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় থাকে। যখনই এলিভেটর বাটন আপনি চাপ দিয়ে ফেলেছেন, তখন থেকেই সামনের দরজাটি খুলবে কি খুলবে না তার সিদ্ধান্ত নেয়া শুরু হয়ে যায়।

এই ৬ শব্দের গল্পটিই ঠিক এভাবে আপনাকে পীচ ফোর্স করে যেন আপনি স্টুডিও এক্সিকিউটিভকে খুশি করতে পারেন এবং সে যেন বলে, ‘এরপর আরও বলো…’।

৬ শব্দের বলে শব্দ নিয়ে খেলতে ভয় পাবেন না। ক্রিয়েটিভিটিকে তার কাজ করতে দিন, দেখুন অ্যাড কপি কত দুর্দান্তভাবে তৈরি হচ্ছে।

৭) প্রশ্ন করুন

আইস ব্রেক করতে হলে ভাল প্রশ্ন আপনাকে করতে হবেই। যে কারো অ্যাতেনশন ধরে রাখার জন্য এবং তাদেরকে আপনার সাথে এংগেজ করার জন্য এটা খুব সহজ একটা পন্থা। আর এই সুযোগটাই আপনি নিতে পারেন অ্যাড কপি লেখার সময়। আপনার জানা থাকতে হবে কী ধরনের প্রশ্ন আপনি করতে যাচ্ছেন। এমন কিছু আপনি লিখতে যাবেন না যা আপনার টপিকের সাথে একদমই যায় না আর সেটা ক্লিকবেইট হয়ে যায়। আবার এমন কিছুও জিজ্ঞেস করতে যাবেন না যে আপনার অডিয়েন্স আনকমফোর্টেবল ফিল করে।

এর বদলে আপনাকে ভালো ভালো শব্দ খুঁজে বের করতে হবে, তাদের মাইন্ড পড়তে হবে। এটা আপনি করতে পারেন তাদের প্রয়োজনীয়তা বা কনসার্ন বিষয়ক সাধারণ কিছু প্রশ্ন করে।

নিচের এই উদাহরণ দুটি খেয়াল করুন। ডিফারেন্ট ইন্ড্রাস্ট্রি এবং ডিফারেন্ট অডিয়েন্স হলেও দুটোতেই প্রশ্ন করা হয়েছে। জিজ্ঞেস করা হচ্ছে অডিয়েন্সের আগ্রহ সম্পর্কে। এই প্রশ্নের উত্তরে অডিয়েন্স তাদের ইচ্ছার কথা জানাবে।

৮) অ্যাকশন ভার্ব দিয়ে শুরু করুন

যদি প্রশ্ন করা আইস ব্রেকার হয়, তাহলে সেকেন্ড অপশন হচ্ছে অ্যাকশন ভার্ব। এর সেই ক্ষমতা আছে, যা মানুষকে যে কোনো কাজ করাতে বাধ্য করে। আপনি আপনার অডিয়েন্সকে কিছু করার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন, তারা ভালোর জন্য সেই অ্যাকটিভিটিতে জয়েন করবে। এ জন্য শুরুতেই ভালো শব্দ ব্যবহার করতে হবে। কোনো অ্যাড কপি ‘থামুন’, ‘দৌড়ান’ বা ‘শুনুন’ দিয়ে শুরু না করাই ভালো। এগুলো অ্যালার্মিং বা ক্লিকবেইট হিসেবে ধরা হয়।

এর বদলে আপনি যে ধরনের শব্দগুলো ব্যবহার করতে পারেন-

  • ডিসকভার
  • এক্সপেরিয়েন্স
  • ইঞ্জয়
  • আনলক
  • ফিল
  • রিসিভ

৯) নম্বর যুক্ত করুন

আপনি কখনো বলেছেন, ‘আমি যতক্ষণ নম্বর না দেখি, ততক্ষণ বিশ্বাস করি না।’ অথবা ‘আমি আগে নম্বর দেখতে চাই’। আমাদের নম্বরে বিশ্বাস করতে হবে। আমরা যখন কোনো দেশের বার্থ রেট বা কফি লাভারদের পার্সেন্টেজ শুনি, তখন আমাদের আশেপাশের ক্লিয়ার পিকচার কিছুটা হলেও বোঝা যায়। এতে পরিস্থিতি বোঝা অনেকটাই সহজ হয়।

তাহলে কপিরাইটিং এ কেন এটা ব্যবহার করব না?

যখন কোনো ডিসকাউন্ট দিবেন, তখন শুধু বলবেন না যে ডিসকাউন্ট দিবেন। নির্দিষ্ট করে বলুন কতটুকু দিচ্ছেন।

১০) আপনি ও আপনার – এই শব্দ ব্যবহার করুন

মার্কেটিং এর একটি বেসিক রুলস হচ্ছে – পুরো ভিড়ের সবার সাথে কথা বলার চেয়ে, নির্দিষ্ট একজনের সাথে কথা বলুন।

‘আপনি’ শব্দটি ব্যবহার করলে ম্যাসেজ আরও ব্যক্তিগত মনে হয়। এরকম ম্যাসেজ যে কাউকে অনেকের মাঝেও স্পেশাল ফিল করায়।

১১) ওয়ার্ড মিরর

মার্কেটিং এ এই টেকনিকটি বহুল প্রচলিত। এতে অ্যাটেনশন সরাসরি ক্যাপচার করা যায়।

অডিয়েন্সের ওয়ার্ড মিরর করার দুই ধরনের মাধ্যম আছে।

প্রথমটা হচ্ছে সব ধরনের রিভিউ একসাথে করা এবং কোন শব্দগুলো কাস্টমার ও ক্লায়েন্টরা বেশি ইউজ করছে সেগুল বোঝা। সেই কমন জিনিসগুলো অ্যাডভার্টাইজ করার জন্য ব্যবহার করুন। আর আরেকটা সহজ উপায় হচ্ছে – কিছু ফেবারিট কপি ব্যবহার করা।

দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে কী ওয়ার্ড রিসার্চ করা। এটা তখনই সম্ভব যখন আপনি আপনার আর্টিকেলগুলোকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে পারবেন। অডিয়েন্স যখন কী ওয়ার্ড দিয়ে খুঁজে পাবে, তখন আপনিও জানতে পারবেন কপিতে কোন কোন শব্দগুলো আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।

১২) নিজের ভেতরের কবিকে জাগিয়ে তুলুন

এই কবিতা লেখার জন্য আপনাকে শেক্সপীয়ার বা কবি গুরু হতে হবে না। আপনাকে জাস্ট ছোট ছোট কিছু ট্রিকস জানতে হবে। আর শব্দের সাথে ভালোবাসা থাকতে হবে। শব্দকে ব্যবহার করতে হবে বেশ ট্রিকি ওয়েতে।

এই ট্রিকগুলো হচ্ছে –

  • Puns
  • Rhymes
  • Alliterations

Puns মানে হচ্ছে একটি শব্দকে কয়েকভাবে জোকের মাধ্যমে বলা। এটা অবশ্য সবাই করতে পারে না। কিন্তু একবার বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করতে পারলে, খেলটাই বদলে যায়! নিচের উদাহরণটি দেখুন-

Rhymes অ্যাড কপিকে মনে রাখার জন্য আরও একটি মেমোরেবল ফ্লো। এটাকেও বেশ বুদ্ধির সাথে ব্যবহার করতে হয় যেন টার্গেট অডিয়েন্স গানের মতো গুনগুণ করে গাইতে থাকে। নিচে স্টারবাকস ও ওরিও’র বিজ্ঞাপন দুটি দেখুন-

মনে রাখবেন, এখানে শব্দগুলো একদম ছড়ার মতো করে লিখতে হয় না, জাস্ট একটা রিদম থাকতে হয়।

Alliterations ও অনেকটা রাইমসের মতোই কাজ করে। কপিকে বেশ সুন্দর একটা রিদম দেয়। আবারও স্টারবাকসের বিজ্ঞাপনটি দেখা যাক-

১৩) ৫টি সেন্সে ট্যাপ করুন

অডিয়েন্সের ইমোশনের কথা তো শুনেছেন কিন্তু তাদের সেন্সের ব্যাপারে কথা বলেছেন কখনো?

সেন্সরি ওয়ার্ডের সেই শক্তি আছে যা ছবি দেখলে অনুভব করা যায়। আপনি যদি শব্দের মাধ্যমেই শুনতে পারেন, ঘ্রাণ নিতে পারেন, স্পর্শ করতে পারেন, স্বাদ নিতে পারেন, তাহলে শুধু শব্দের দিকে তাকিয়ে থাকা কেন? এতে অডিয়েন্সরা হাতে পাওয়ার আগেই প্রোডাক্টের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অবগত হবেন, কেনার চান্স বাড়বে।

ম্যাকডোনাল্ডের এই বিজ্ঞাপনটি দেখুন। ছবি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে না?

পরেরবার থেকে শুধু টেস্টি লেখার বদলে স্পেসিফিকভাবে লিখুন-

  • Caramelly
  • Sugary
  • Crunchy
  • Juicy
  • Creamy

যদি স্পর্শ বোঝাতে চান তাহলে লিখুন-

  • Fluffy
  • Velvety
  • Satin
  • Silky
  • Smooth
  • Melty

ঘ্রাণ বোঝাতে চাইলে ব্যবহার করুন এই শব্দগুলো-

  • Lemony
  • Fruity
  • Floral
  • Rich
  • Fresh

আই ক্যাচিং কিছু বোঝাতে চাইলে লিখুন –

  • Bright
  • Sparkling
  • Shiny
  • Lacy
  • Glowing

শুনতে ভালো শোনাবে এমন কিছু লিখতে চাইলে এই শব্দগুলো ব্যবহার করুন –

  • Melodious
  • Purring
  • Clear
  • Hushed

১৪) ইগো’র সাথে কানেক্ট করে দিন

অডিয়েন্সের ইমোশন, ৫টা সেন্স নিয়ে তো কথা হলো। এবার চলুন ইগো নিয়ে কথা বলা যাক। শব্দটি শুনে হয়ৎ নেতিবাচক মনে হচ্ছে, কিন্তু এটা আসলে তেমন নয়। এটাকে আসলে আত্ম সম্মান বললে বেশি মানানসই হয়। এর ব্যবহারে আপনি নিজেকে আরও বেশি স্পেশাল ভাবেন। অডিয়েন্সের ইমশন নিয়ে কাজ করলে তাকে একইসাথে স্পেশাল ফিল করানো জরুরি না? মাত্র কয়েক শব্দ দিয়ে কীভাবে এটা করা যায়, যদি তাই ভাবেন তাহলে নিচের বিজ্ঞাপনটি দেখুন-

স্যামসাং বলছে যে আপনার আইডিয়া যত বড় আপনি তত বড় স্ক্রিন ডিজার্ভ করেন। আপনি আরও একবার স্পেশাল অনুভব করছেন এতে।

১৫) FOMO (Fear Of Missing Out) থেকে সুযোগ নিন

আমরা স্পেশাল ফিল করতে ভালোবাসি, কিন্তু কখনো কখনো আবার ভিড়েরও অংশ হতে চাই।

আর FOMO (Fear Of Missing Out) এটাই প্রমাণ করে।

আপনি কতবার এমন কিছু সিরিজ বা টিভি শো দেখেছেন কারণ অনেকেই সেটি নিয়ে কথা বলছে? বেস্টসেলার বলে সেই বই আপনি কিনে নিয়ে পড়েননি?

এর কারণ হচ্ছে FOMO খুবই শক্তিশালী, এবং সঠিক শব্দের সাথে এটিকে প্রয়োগ করতে হয়।

আপনার অডিয়েন্সকে প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলুন কারণ তারা সব ধরনের হাইপ সম্পর্কে জানতে চায়। তাদেরকে বোঝান যে তারা দারুণ কিছু মিস করতে যাচ্ছে এবং সিটিএ বাটনে চাপ দিয়ে যেন আরও তথ্য জানতে পারে এবং বিশেষ করে যেন কিনতে আগ্রহী হয়।

কসমেটিক ব্র্যান্ডগুলো এই ব্যাপারটি খুব মেনে চলে। যেমন নিচের এই উদাহরণটি-

১৬) প্রাসঙ্গিক হোন

প্রাসঙ্গিক হওয়া মানে কী ঘটনা ঘটছে সেই সম্পর্কে জানা। এতে অডিয়েন্সের আগ্রহ সম্পর্কে যেমন জানা যায় তেমনই প্রতি ক্লিক ও শেয়ারে নতুন অডিয়েন্স আসে, কথা হয়, আলোচনা হয়।

এখানেও একটু ট্রিকি হতে হয়।

আপনি প্রাসঙ্গিক হতে চাইলে আপনাকে কারেন্ট ইভেন্তের সাথে আপনার ম্যাসেজকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে দিতে হবে। আপনার অ্যাড কপি দেখে যেন মনে না হয় আপনাকে ফোর্স করা হচ্ছে। সময়টাও যেন সঠিক থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নইলে অডিয়েন্স বিরক্ত হতে পারে।

২০২১ সালে হ্যালোউইনের সময় ফান্টা দারুণ এই বিজ্ঞাপনটি করেছিল –

কীভাবে অ্যাড কপি লিখলে কাস্টমারের নজর কাড়া সম্ভব, কপি লেখার ফাউন্ডেশনগুলো কী কী সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানালাম। আশা করি আর্টিকেলটি হেল্পফুল ছিল। কপি লেখা নিয়ে কোনো ভয় থাকলে সেই ভয় দূর করে আজ থেকে আবার শুরু করে দিন প্রস্তুতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *