আপনি কি কর্ণেল স্যান্ডার্সকে চিনেন? না চিনে থাকলেও আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আপনি তাকে চেনেন ও বহুবার দেখেছেন। বিশ্ববিখ্যাত ফাস্টফুড ব্র্যান্ড “কেএফসি” এর লোগোর হাস্যোজ্জ্বল ষাটোর্ধ্ব যে মানুষটিকে দেখা যায়, তিনিই হলেন কর্ণেল স্যান্ডার্স। তার নাম না জানলেও তাকে চেনে না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুবই কম আছে হয়তো। আপনি তাকে হাস্যোজ্জ্বল ভাবে দেখলেও তার এই পর্যন্ত আসার পথটা কিন্তু অনেক কঠিন ছিলো। অত্যন্ত কষ্টকর ছিলো তার অতীত জীবন। বলতে গেলে জীবনের বেশিরভাগ সময় তার কেটেছিলো নিদারুণ কষ্টে। কেন্টাকির এক পথের ধারের রেস্টুরেন্ট থেকে সারাবিশ্বে কীভাবে ছড়িয়ে পড়লো এই কেএফসি বা “কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন” – চলুন সেই যাত্রায় আমরা একটু উঁকি দিয়ে আসি।
জন্ম ও বাল্যকাল
১৮৯০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ইন্ডিয়ানার হেনরিভিলেতে জন্মগ্রহণ করেন হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স। জীবনের শুরুতে মাত্র ৫ বছর বয়সেই প্রথম দুর্ভোগে পড়েন তার বাবা উইলবার স্যান্ডার্স এর মৃত্যুতে। বাধ্য হয়ে তার মা কাজ নেন টমেটো ক্যানজাত করার ফ্যাক্টরীতে। এছাড়াও আশেপাশের পরিবারের জন্য সেলাইয়ের কাজও করতেন তিনি। এসকল কাজের ফলে অনেক সময়ই তার মাকে পরিবার থেকে এক দুইদিনের জন্য দূরে থাকতে হতো। সে সময় কর্ণেল স্যান্ডার্স তার ছোট আরো দুই ভাইবোনসহ বাড়ি দেখাশোনা করে রাখতো। যেহেতু তিনি ছিলেন সবার বড়। এ সময়েই মূলত তার রান্নার হাতেখড়ি হয়ে থাকে। আস্তে আস্তে তিনি রান্নায় পরিপক্ক হয়ে উঠতে থাকেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি তার জীবনের প্রথম চাকরি শুরু করেন স্থানীয় একটি খামারে। ১২ বছর বয়সে, তার মা আবার বিয়ে করলে পরিবারসহ চলে যান ইন্ডিয়ানাপোলিসের বাইরের এক শহরতলীতে। তার সৎ বাবার সাথে খুব একটা মিল ছিল না, বরং প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। অবশেষে ১৩ বছর বয়সে তিনি আবার ক্লার্ক কাউন্টিতে ফিরে যান যেখানে তারা আগে বসবাস করতেন। গ্রীনউড, ইন্ডিয়ানার বিভিন্ন স্থানে খামারের কাজ, পশুপাখি খাওয়ানোসহ টুকটাক কাজ করে মাসে ১০ থেকে ১৫ ডলার ইনকাম করতেন। এর মাঝে পড়াশোনা চালানোরও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ৬ষ্ঠ শ্রেণির পর তাকে লেখাপড়া ছেড়ে দিতে হয়। তিনি এ ব্যাপারে বলেন যে, “বীজগণিতের কারণে আমি আমার লেখাপড়া ছেড়েছিলাম”।
দু:খ আর সংগ্রামের জীবন
স্কুল ছাড়ার পরবর্তী ২৮ বছরে নানারকম ছোটখাটো চাকরি ও কাজের মাধ্যমে অতি কষ্টে জীবন চালিয়ে নিতে থাকেন। তার চাকরি ও ক্যারিয়ার জীবন ছিল অত্যন্ত অস্থিতিশীল। কিছুদিনের জন্য আমেরিকান আর্মিতেও কাজ করেন, যখন তাকে কিউবায় পাঠানো হয়। এছাড়াও রেইলরোডের ফায়ারম্যান, স্ট্রীটকার কন্ডাক্টার, ইন্স্যুরেন্স সেলসম্যান, সেক্রেটারি, টায়ার বিক্রেতা, ফেরিচালক, উকিল এমনকি মিডওয়াইফ (ধাত্রী) হিসেবেও কাজ করেছেন। যেকোনো চাকরি সামলানোর ক্ষেত্রে কর্ণেল স্যান্ডার্স এর খুব একটা যে দক্ষতা ছিলো না, তা একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়। এমনকি মামলা চলাকালীন নিজের ক্লায়েন্টের সাথেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ারও রেকর্ড তার আছে। ফেরির ব্যবসায় তার ভাগ্যটাও খারাপ হয় যখন কাছাকাছি একটি সেতু নির্মিত হয়, ফলে ব্যবসাটাও ছেড়ে দিতে হয়। এ সময় তিনি একদমই বেকার হয়ে পড়েন। তিনি যখন মধ্যবয়সে আসেন, তখন তিনি ধরেই নেন যে তার এই এত পরিশ্রমের সুষ্ঠু ফলাফল আর তিনি পাবেন না।
পারিবারিক দিকও ছিলো দু:খময়
স্যান্ডার্স এর পারিবারিক দিকেও নানারকম দু:খজনক ঘটনা ঘটছিলো। ১৯০৮ সালে তিনি বিয়ে করেন জোসেফাইন কিং নামের একজন মহিলাকে। তার তিন সন্তান- মার্গারেট, হারল্যান্ড জুনিয়র এবং মিলড্রেডের জন্ম হয়। কিন্তু কোনো সফল ক্যারিয়ার না থাকায়, আর্থিক দৈন্যদশায় পারিবারিক ঝামেলা, টানাপড়েন লেগেই থাকতো। জোসেফাইন তাকে অল্প সময়ের মধ্যে ছেড়ে যায়, সাথে নিয়ে যায় তিন সন্তানকে। তবে ১৯৪৭ সালে পাকাপোক্তভাবেই ডিভোর্স হয় তাদের।
পারিবারিক আরো একটি বড় বিপর্যয় নেমে আসে যখন মাত্র ২০ বছর বয়সে হারল্যান্ড জুনিয়র টনসেলেকটমির অপারেশনে, রক্তের বিষক্রিয়ায় মারা যায়। সে সময় এটি খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা ছিলো। তবে এ ঘটনায় স্যান্ডার্স অনেক বেশি কষ্ট পান। এবং এই ঘটনাটির জন্য তিনি অনেক সময়ই ডিপ্রেসনে থাকতেন। অনেকবার জীবনের পথে হেরে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন। তবে সেখানেও যখন সফল হননি, তখন নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। অবশেষে ১৯৪৯ সালে তিনি ক্লডিয়া লেডিংটন নামের একজন নারীকে বিয়ে করেন যার সাথে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছিলেন।
সাফল্যের সোনালী রেখা
অবশেষে কেন্টাকির কর্বিন শহরে একটি গ্যাস স্টেশন চালানো শুরু করেন স্যান্ডার্স। এ সময়ে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত ড্রাইভার, যাত্রীদের জন্য তিনি খাবার রান্না ও বিক্রি শুরু করেন। তার রান্না করা খাবারগুলো মূলত ছিল প্যানে ভাজা মুরগী, হ্যাম, ঢেড়স ও সিম ভাজা এবং গরম গরম বিস্কুট। এই খাবারগুলো তার রান্নার দক্ষতার জন্য কেন্টাকি অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যদিও এটি সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায় ছিল না, তবে স্যান্ডার্স এর দু:খজনক জীবনে আশার আলো দেখানোর মত সাফল্য ছিলো৷ এ সময়ে স্যান্ডার্সের জীবনটা যদিও অনেক আহামরি ছিলো না, তবে স্বাচ্ছন্দ্যের একটি জীবন ছিলো। কয়েক বছর পর গ্যাস স্টেশন তুলে জীবনের প্রথম রেস্টুরেন্ট দেন এই জায়গায়।
এই সময়ে স্যান্ডার্স এই মুরগীর রেসিপিটি নিয়ে রীতিমতো নানারকম পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন কীভাবে আরো সুস্বাদু করা যায়। তারপরে যে রেসিপিটি তিনি আবিষ্কার করেন, তা আজও অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষিত আছে কর্তৃপক্ষের কাছে। ১৯৩৯ সালে তার এই সফলতায় আরেকটি পালক যুক্ত হয় যখন তিনি প্রেসার কুকারের মাধ্যমে এই রেসিপিটি তৈরীর পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এর ফলে অল্প সময়ে গুনগত মান ও স্বাদ ঠিক রেখে মুরগীটি তৈরী করা যেত। এ সময় তার রেস্তোরাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে, এলাকা ছেড়ে বাইরের দিকেও এর সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
আবারও দুভার্গ্যের আঘাত
বহু কষ্টের পর পাওয়া এই সাফল্যের উপর আবারও দুর্ভাগ্য আঘাত হানে কর্ণেল স্যান্ডার্সের উপর। হঠাৎ করে স্যান্ডার্সের রেস্তোরার উল্টোদিকের হাইওয়ে জংশনটি সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। যার ফলে ব্যস্ত ট্রাফিক, লোকজন, গাড়ি এবং যাত্রীদের আনাগোনা কমে যায় আর স্যান্ডার্সের রেস্তোরার বিক্রিও কমে যায়। এতেই তার রেস্তোরা বন্ধের পথে চলে যায়, তার উপর আঘাত হানে আরো একটি দু:সংবাদ। ঘোষণা করা হয় ওই স্থানটি থেকে মাত্র ৭ মাইল দূরে ইন্টারস্টেট হাইওয়ে তৈরী করা হবে৷ ফলে এই আশেপাশের একালায় যে কোনো রকম স্থাপনাই থাকবে না সেটা নিশ্চিত। স্যান্ডার্স যখন বুঝলেন যে এখানে আর থাকা সম্ভব না, ১৯৫৬ সালে তিনি রেস্তোরাটি বিক্রির চেষ্টা করেন। এখানেও বিশাল লসে বিক্রি করতে হয়৷ আর ইনকামের পথও বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তার সেভিংস আর সোশ্যাল সিকিউরিটির টাকা দিয়ে মাসে মাত্র ১০৫ ডলার পেতেন। স্যান্ডার্সের জীবনে আবার নেমে আসে দৈন্যদশা। খুব অল্প সময়ে জীবনে সাফল্যের ঝলক দেখেই আবার হারিয়ে ফেলেন এই মানুষটি।
নতুন করে শুরু করার প্রত্যয়
রান্নায় নিবেদিতপ্রাণ স্যান্ডার্স রেস্তোরা বন্ধের পর নতুন উপায় খুঁজতে থাকেন। এবার তিনি ব্যবসার জন্য একটি কৌশল আবিষ্কার করেন আর নতুনভাবে ব্যবসা করার চেষ্টা করেন। তিনি মূলত পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন এবং তার এই মুরগীর রেসিপি বিক্রি করবে এমন ফ্রাঞ্চাইজি রেস্টুরেন্ট খুঁজে খুঁজে বের করেন এবং প্রতিটি মুরগী বিক্রির বদলে ৪ সেন্ট করে অফার করতেন। পরবর্তীতে তিনি এটির দাম একটু বাড়িয়ে এক নিকল করে নিতেন। স্যান্ডার্সের এই অফারে সর্বপ্রথম যে ফ্রাঞ্চাইজি রেস্টুরেন্ট রাজি হয় তা ছিলো পিট হারম্যান এর, যিনি ছিলেন সল্ট লেক সিটির এবং স্যান্ডার্সের একজন বন্ধু। পিট লক্ষ্য করেন, স্যান্ডার্সের এই রেসিপি দিয়ে বানানো মুরগী বিক্রির কারণে তাদের বিক্রি আগের চেয়ে বেশি হচ্ছে।
তবে এই জার্নিটাও সহজ ছিলো না৷ বরং এটা ছিলো প্রচন্ড ক্লান্তির, কষ্টের এবং অনেক ক্ষেত্রে অপমানেরও। স্যান্ডার্স সারা যুক্তরাষ্ট্রে উপযুক্ত রেস্টুরেন্টের খোঁজে ঘুরে বেড়াতেন। কোনো রেস্টুরেন্ট পেলে সেটির মালিককে তার এই অফারটি দিতেন আর বলতেন যেন তাকে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের জন্য এটি রান্না করতে দেয়া হয়। কর্মচারীরা এটি খেয়ে যদি সন্তুষ্ট হন তাহলে স্যান্ডার্স পরীক্ষামূলকভাবে কিছুদিনের জন্য কাস্টমারদের জন্য রান্না করে পরিবেশন করতেন। যদি জনসাধারণ খাবারটি খেয়ে সন্তুষ্ট হতো তাহলেই রেস্টুরেন্টটির সাথে চুক্তি হতো। এই সংগ্রামের সময়টিতে অনেক সময়ই স্যান্ডার্স এবং তার স্ত্রীকে দেখা যেত বাইরে গাড়িতে থাকতেন বসবাসের জন্য এবং বন্ধুদের থেকে খাবার চেয়ে খেতেন। তবে এই পদ্ধতিটি আস্তে আস্তে ফলপ্রসূ হয়৷ ১৯৬৩ সাল নাগাদ স্যান্ডার্স ৬০০ টিরও বেশি ফ্রাঞ্চাইজি রেস্টুরেন্টের সাথে কাজ করতে শুরু করেন এবং একটি মিলিয়ন ডলার কোম্পানি গঠন করে ফেলেন। যদিও তখন ঠিক “কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন” নামের কোনো রেস্টুরেন্ট ছিল না, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টগুলোই শুধু এই মুরগী সেল করতো।
কেএফসি’র যাত্রা
জীবনের পুরোটা সময় ধরে অত্যন্ত কষ্ট করে চলা স্যান্ডার্সের জীবনে অবশেষে ধরা দেয় সাফল্য। ১৯৬৩ সালে, ৬৬ বছর বয়সে স্যান্ডার্স এর ব্যবসা ছিলো কানাডা, যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো, জ্যামাইকা সহ ৬০০ টিরও অধিক স্থানে। স্যান্ডার্স সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসাটি হাতবদল করার। ১৯৬৪ সালে তিনি ২ মিলিয়ন ডলারে ব্যবসাটি বিনিয়োগকারীদের হাতে দেন যারা ২ বছর পর ব্যবসাটিকে পাকাপোক্তভাবে প্রকাশ করে। নির্দিষ্ট ভাবে তৈরী হয় “কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন” সংক্ষেপে “কে এফ সি”। ১৯৭০ সাল নাগাদ কেএফসি’র ৪৮ টি দেশে প্রায় ৩০০০ এর মত রেস্তোরা ছিলো। বর্তমানে কেএফসি’র ১১৮ টি দেশে প্রায় ২০,০০০ এরও বেশি আউটলেট রয়েছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮২০,০০০ কর্মী কাজ করে। ২০২১ সালে কেএফসি’র বার্ষিক আয় ছিলো ৬.৬ বিলিয়ন ডলার।
হাল না ছেড়ে সংগ্রাম চালিয়ে গেলে জীবনে সাফল্য আসবেই- ঠিক এটাই আমরা কর্ণেল স্যান্ডার্স এর জীবন থেকে দেখতে পাই। স্যান্ডার্স ১৯৮০ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান। বলা যায় জীবনের দুই তৃতীয়াংশ সময় সংগ্রাম করার পর তিনি এতটাই সফল হন যে পৃথিবীর সমস্ত কোণায় কোণায় ছড়িয়ে যায় তার নাম। তার নাম না জানলেও তাকে চেনে না এমন মানুষও খুবই কম এই পৃথিবীর বুকে। তার সাফল্যের পেছনে ছিলো তার হার না মানা, শত বাঁধার পরও নতুন করে আবার চেষ্টা করা। কর্ণেল উপাধি পাওয়া এই মানুষটির কথাগুলোই তা প্রমাণ করে- “মনে রাখবেন, প্রতিটি ব্যর্থতা আরো ভালো কিছুর জন্য একটি এগিয়ে যাওয়ার ধাপ হতে পারে।”
স্যান্ডার্স তার কাজের প্রতি কতটা নিবেদিত ছিলেন তা তার এই স্টেটমেন্ট থেকে বোঝা যায়- “আমার মাত্র দুটি নিয়ম ছিলো- আপনি যতটা পারেন তার সবটা করুন এবং আপনার শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করুন।“
এই চরম সংগ্রামী মানুষটার জীবন আমাদেরকে ব্যর্থ হলে থেমে না যাওয়া শেখায়, শেখায় নিজের কাজের প্রতি নিবেদিত হতে। এই মানুষটির জীবনে তাকালে আমরা বুঝতে পারি যে সাফল্য তখনই ধরা দেয় যখন আপনি হতাশ না হয়ে লেগে থাকেন এবং নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করেন। তাই জীবনে যখনই ব্যর্থতার জন্য হতাশ হবেন, কর্ণেল স্যান্ডার্সের জীবনের দিকে একবার তাকিয়ে দেখবেন।