মার্কেটিং স্কিল বর্তমানে চাকরিদাতাদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাকরি ছাড়াও ব্যবসা, নতুন কোনো উদ্যোগ নেয়া অথবা নিজের পুরাতন কাজের জায়গাতেই কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কেটিং স্কিল খুব সহায়ক। সঠিক স্কিল থাকলে আপনি জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রেই এগিয়ে যেতে পারেন। ব্যক্তিগত জীবনে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি, কোনো জনকল্যাণমূলক কাজ বা সেজন্য ফান্ড সংগ্রহ বা কারো সাথে বন্ধুত্ব করার সময়ও কাজে লাগে। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করা, ভালো চাকরি পাওয়া, পদোন্নতি, নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা এসব ক্ষেত্রেও মার্কেটিং স্কিল আপনাকে অনন্য করে তুলতে পারে, এগিয়ে রাখতে পারে সবার চেয়ে। মার্কেটিং নিয়ে স্টিভ জবস এর খুব সুন্দর একটি উক্তি আছে। তিনি বলেছিলেন,
‘মার্কেটিং হচ্ছে মূল্যবোধের ব্যাপার। বর্তমান পৃথিবী অনেক জটিল আর গোলমেলে, আর এখানে আমরা মানুষকে নিজেদের মনে রাখানোর মত খুব বেশি কিছু পাবো না। কোনো কোম্পানিই পাবে না। তাই আমরা তাদেরকে আমাদের সম্পর্কে কী ধারণা দিচ্ছি সে সম্পর্কে আমাদের নিজেদের সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে হবে।’
আমাদের আজকের আলোচনা এই মার্কেটিং আর তার স্কিল নিয়েই।
মার্কেটিং স্কিল কী এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে একটা গল্প বলে শুরু করা যাক।
একজন বৃদ্ধ লোক তরমুজ বিক্রি করছেন, তার দোকানের সামনে সাইনবোর্ড টানানো, একটি তরমুজের দাম ৩০ টাকা, তিনটি তরমুজের দাম ১০০ টাকা। একজন তরুণ ক্রেতা কৌতূহলী হয়ে আসেন এবং বৃদ্ধের প্রচারণায় মজা পান। তিনি একটি একটি করে তিনটি তরমুজ কিনে বিক্রেতাকে আলাদা আলাদা করে সর্বমোট ৯০ টাকা দেন। কিনে চলে যাওয়ার সময় তিনি বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করেন, চাচা আপনি কি বুঝতে পেরেছেন আমি আপনার কাছ থেকে তিনটিই তরমুজ কিনলাম কিন্তু দশ টাকা কমে পেলাম? বৃদ্ধ মুচকি হেসে বলেন, প্রতিবার ক্রেতা এসে আমাকে বোঝানোর জন্য একটির জায়গায় তিনটি করে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে, এরপরও যাওয়ার সময় আমাকেই লাভ ক্ষতি শেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
গল্পটি অক্ষরে অক্ষরে হয়ত একই নয়, তবে মূলভাব মোটামুটি একই। সঠিক মার্কেটিং যে কীভাবে উন্নতি ঘটাতে পারে, গল্পটি তার একটি উদাহরণ।
মার্কেটিং বলতে মূলত বোঝানো হয় প্রচারণামূলক কর্মকান্ড। কর্পোরেট ক্ষেত্রে মূলত সেবা, ব্যবহার্য জিনিস এগুলো পণ্য হিসেবেই ধরা হয়। আপনার পণ্যের বিক্রি ও ব্যবহার বাড়াতে আপনি যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেগুলোই মূলত মার্কেটিং। আর আপনার এইসব পদক্ষেপ নেওয়ার ধরন ও প্রকাশ হচ্ছে আপনার নিজস্ব মার্কেটিং স্কিল। এর মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য প্রচার-প্রচারণা, সেবার মান, গ্রাহকের কাছে সেবা ও পণ্য পৌঁছে দেয়া ইত্যাদি।
মার্কেটিং এর উপর নির্ভর করছে আপনার পণ্যের সফলতা। পণ্য ভালো হোক বা খারাপ, গ্রাহক ক্রেতার কাছে তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যম হচ্ছে মার্কেটিং। এর মাধ্যমে ক্রেতার চাহিদা, পছন্দ ইত্যাদি বোঝা এবং সেই অনুযায়ী পণ্যের মান ঠিক করা যায়। মার্কেটিং আপনার পণ্যকে সবচেয়ে জনপ্রিয় করতে পারে, আবার একইভাবে একেবারে সাধারণ, অথবা আপত্তিকর অনুপযুক্ত বা ভুল মার্কেটিং এ আপনার পণ্য হতে পারে গ্রাহক ক্রেতার ক্ষোভের কারণ। এখানেই আসে পজিটিভ ও নেগেটিভ মার্কেটিং এর গুরুত্ব। সঠিক মার্কেটিং স্কিল থাকাটা প্রফেশনাল লাইফে খুবই জরুরি।
এই স্কিলের কারণে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?
দেখে নেয়া যাক মার্কেটিং স্কিল থাকলে আপনার কী কী সুবিধা হতে পারে।
- এই স্কিল কাজে লাগিয়ে আপনি পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন।
- গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক রক্ষায় মার্কেটিং স্কিল আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
- নতুন নতুন ক্রেতা গ্রাহককে আপনার সেবা বা পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারে।
- আপনার ব্যবসার ক্ষেত্র বাড়াতে সাহায্য করে।
- ক্রেতার চাহিদা বা পছন্দ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন পণ্য বাজারজাত করায় সহায়তা করে।
- নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র বাড়াতে পারে এবং আপনার ব্যবসা বা কোম্পানিকে ভালো অবস্থানে নিতে পারে।
সুতরাং, বোঝাই যায় নিজের ব্যবসা বা চাকরির ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হলে মার্কেটিং স্কিল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সময়ের সাথে সাথে মার্কেটিং এর ধরন বদলায়, নিত্যনতুন ট্রেন্ড এসে জায়গা করে নেয়। সেসবের সাথে সমতা রেখে বদলাতে হবে আপনার মার্কেটিং এর ধরনও। তবেই সফলতা আসবে। একটা সময়ে মানুষের প্রতিদিনের খবর জানার অন্যতম মাধ্যম ছিল খবরের কাগজ। কিন্তু বর্তমানে তা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। তাই, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অধিকাংশই তাদের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি বদলেছে। কাগজে ছাপা বিজ্ঞাপনের চাইতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। অ্যাড ক্যাম্পেইনগুলোতে ভিন্নতা এসেছে, প্রচারের ভাষাও বদলেছে। তাই সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াও জরুরি।
কী ধরনের স্কিল থাকতে হবে?
চলুন জেনে নিই দশটি নির্দিষ্ট মার্কেটিং স্কিল সম্পর্কে, যা আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন দুটোই সহজ করবে এবং সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিবে।
১) লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারার ক্ষমতা
মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারা খুব জরুরি। অস্পষ্ট লক্ষ্য আপনার প্রচারণার ক্ষেত্রে কোনো সুফল বয়ে আনবে না বরং কাজ আরো কঠিন ও এলোমেলো করবে। যেকোনো প্রচারণা, বিজ্ঞাপন বা ক্রেতাকে কনভিন্সিং এর ক্ষেত্রে আগে এটা নির্দিষ্ট করতে হবে কতটুকু বিক্রি বাড়ানো যায় বা কোন শ্রেণির ক্রেতাদের কাছে বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে পৌঁছাতে হবে, ক্রেতার চাহিদা মেটাতে কী করা হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ শুধু মার্কেটিং না, জীবনে সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয়।
২) বাজেট তৈরি ও পরিচালনার ক্ষমতা
এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং স্কিল। এ স্কিলের উপর আপনার লাভ ক্ষতির অনেকটাই নির্ভর করে। এর জন্য খরচের নির্দিষ্ট মাত্রা বোঝার গুণ থাকতে হবে। একটি ব্যবসা বা পণ্য বিপনণের ক্ষেত্রে অনেকগুলো ধাপ থাকে, প্রতি ধাপে কতটুকু খরচ আদর্শ, কতটুকুতে সর্বোচ্চ ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে, এসব বুঝতে পারলে বাজেট তৈরির সময় অনেক খরচ বাঁচানো যায়। একই সাথে অতিরিক্ত খরচ কমানো ও দরকারমত খরচ এডজাস্ট করে নেয়াও যায়। এই স্কিলটি যারা ব্যবসা ছাড়াও হিসাবরক্ষা বা সরাসরি ক্রেতাদের সাথে বা সেলস সেকশনে কাজ করেন তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
৩) ফলাফল লক্ষ্য করা এবং পরিমাপ করার ক্ষমতা
এটা মূলত প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন মার্কেটিং ক্যাম্পেইন, ওয়েবসাইটে প্রচারণা ইত্যাদির প্রভাব কতটা কার্যকর হচ্ছে বোঝার জন্য তার ফলাফল বোঝার এবং মাপার ক্ষমতা থাকতে হয়। এই স্কিলের মধ্যে পড়ে ফলাফল লক্ষ্য করার জন্য কিছু টেকনিক যেমন- ওয়েবসাইটের ট্রাফিক, ক্রেতাদের আগ্রহ অনুযায়ী মার্কেটিং, বিক্রির হার ইত্যাদি। এই স্কিলের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তথ্য বিশ্লেষণ। এটি ট্র্যাকিং ও পরিমাপ সম্পর্কিত অংশ থেকে তথ্য সংগ্রহ, তা বিশ্লেষণ এবং তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল পেতে সাহায্য করে। এর মাঝে সমসাময়িক ট্রেন্ড বিশ্লেষণ, নতুন সুযোগের সন্ধান করা এবং কোন কোন উদ্যোগগুলো সফল বা ব্যর্থ হচ্ছে এসব বিশ্লেষণ করাও পড়ে।
৪) সম্পর্ক ভালো করার ক্ষমতা
সম্পর্ক তৈরি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং স্কিল। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাহক, অংশীদার ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং নতুন নতুন গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এ স্কিলটি থাকতে হলে কার্যকরভাবে যোগাযোগ ও তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষমতা থাকতে হবে, সত্যিকারের আগ্রহ ও জানার ইচ্ছা থাকতে হবে এবং ধীরে ধীরে বিশ্বস্ততা অর্জন করে নিতে জানতে হবে। এটির জন্য সরাসরি বাক্যালাপের মাধ্যমে বা লিখিত, দুইভাবেই প্রোপার কমিউনিকেশন করতে জানতে হয় এবং মানুষের মনোভাব আন্দাজ বা যাকে বলা হয় “এবিলিটি টু রিড পিপল”, তা জানা জরুরি।
৫) নেটওয়ার্কিং এর ক্ষমতা
নেটওয়ার্কিং মার্কেটিং স্কিল ও কর্পোরেট জগতে খুব জরুরি একটা স্কিল। নেটওয়ার্কিং হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকা আর সঠিক মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারা, সম্পর্ক তৈরি করা যা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক হয়। এই গুণটির জন্য এক্সট্রোভার্ট হওয়া, অপরিচিত মানুষের সাথে কথা শুরু করতে ও মিশতে পারা, জোরালো বক্তব্য দিতে পারা জানতে হবে। সঠিক নেটওয়ার্কিং কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্ষেত্রবিশেষে অনেক এগিয়ে দিতে পারে।
৬) সমস্যার সমাধান করতে পারার ক্ষমতা
ব্যবসা, চাকরি বা নিজের উদ্যোগ যাই হোক না কেন, সমস্যা থাকবেই। সমস্যাকে কে কীভাবে সমাধান করতে পারে এর উপর নির্ভর করছে তার উন্নতি। তাই মার্কেটিং স্কিল এ একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা হল সমস্যা সমাধান করতে পারা।সমস্যার মূল খুঁজে বের করা এবং ঠিক করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করা, চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রাখা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরি। এজন্য সৃজনশীল ও বিশ্লেষণধর্মী দুই ধারার চিন্তাই জরুরি।
৭) প্রেজেন্টেশন তৈরি ও উপস্থাপনার ক্ষমতা
প্রেজেন্টেশন দেয়া ও বানানোর ক্ষমতা এখনকার সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে পড়ে জটিল তথ্যকে সহজ করে উপস্থাপন করা এবং সবাইকে তা বুঝতে সাহায্য করা। ডিজিটাল গ্রাউন্ডে প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যম হতে পারে স্লাইডশো, ভিডিও প্রেজেন্টেশন অথবা জরুরি গাণিতিক তথ্যকে চার্ট বা গ্রাফ হিসেবে তুলে ধরা। একইসাথে এইসব তথ্য গ্রাহকদের সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে পারা। ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে এতে প্রশ্ন ও দ্বিমত গ্রহণের ক্ষমতা ও দর্শকের সামনে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে।
৮) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ এবং কাজে লাগানোর ক্ষমতা
বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের জীবনে বেশ বড় প্রভাব ফেলে। মার্কেটিং স্কিলের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গতিপ্রকৃতি বোঝা, সেই অনুযায়ী নিজেদের কাজের ধরন ও প্রচারমাধ্যমের প্রকৃতি অ্যাডাপ্ট করে নেয়া এবং তাকে কাজে লাগিয়ে ভালো ফলাফল আনতে পারা একটা অন্যতম ক্ষমতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ক্রেতাসাধারণ বা গ্রাহকদের একটি বেশ বড় অংশের মনোভাব জানা যায় এবং যথাযথ বিশ্লেষণ করলে এখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যেতে পারে যা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বা ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এই গুণ থাকার জন্য কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কীভাবে কাজ করে, কেমন শ্রেণির ক্রেতারা সেখানে সক্রিয়, কীভাবে তাদের মাঝে নতুনভাবে প্রচারণা চালানো যায় এসব খেয়াল করতে হয়।
৯) ভিন্ন ভিন্ন দল ও গ্রুপের সাথে মানিয়ে কাজ করার ক্ষমতা
মার্কেটিং স্কিল এর ক্ষেত্রে যোগাযোগ, তথ্য আদানপ্রদান ও সম্পর্ক তৈরি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই মার্কেটিং স্কিলগুলোর একটি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দলের সাথে কাজ করতে পারার ক্ষমতা। এর উদাহরণ হতে পারে একই কোম্পানিতে সংযুক্ত আলাদা আলাদা প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট টিম, ডিজাইনার টিম এবং সেলস টিম। সবক্ষেত্রে যোগাযোগ স্বচ্ছ থাকা, পরিচালনা ও ঠিকভাবে তথ্য আদানপ্রদান এসব সুষ্ঠু থাকলে কাজের মধ্যে কোনোরকম বিভ্রান্তি বা ইনফরমেশন গ্যাপ থাকে না।
১০) মুক্তমন ও নতুন কোনো আইডিয়া কাজে লাগানোর মানসিকতা
মার্কেটিং স্কিলের এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্কিলগুলোর মধ্যে একটি। যুগের সাথে সাথে সবকিছুই বদলাচ্ছে। সাফল্যের হার ঠিক রাখতে চাইলে পরিবর্তনকে মেনে নিতেই হবে। আর সবকিছুর সাথে সাথে গ্রাহক ক্রেতার চাহিদায়ও আসে নতুনত্ব। সেই অনুযায়ী পরিবর্তন, নতুন পদ্ধতি চেষ্টা করে দেখার মানসিকতা, বিভিন্ন আইডিয়া টেস্ট করে দেখা এবং কোন পরিস্থিতিতে কী কাজ করে এসব অনুধাবণ করতে পারা এই স্কিলের জন্য জরুরি। কোনো পদ্ধতি কাজ করবে কিনা তা জানার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সেটা পরীক্ষা করে দেখা। তাই নতুন কিছু করে দেখার ও মেনে নেয়ার মানসিকতা আপনাকে এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে দিবে।
মার্কেটিং স্কিল ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে সৃষ্টি করা যায় Apple এর মত পণ্য বা Alibaba এর মতো প্ল্যাটফর্ম। ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত জীবন দুই ক্ষেত্রেই মার্কেটিং স্কিল আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং আপনাকে অন্য সবার চেয়ে দুইধাপ এগিয়ে রাখবে।