আপনাদের কি মিকি মাউসের নাম মনে আছে? লাল কালো জামা আর বড় বড় দুটো কানের এক ইঁদুর, মিকি মাউস, তাকে চেনে না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। ১৯২৮ সালে সৃষ্টি হওয়া এই ইঁদুরের কার্টুনটি যে বদলে দেবে পুরো বিশ্বকে – তা কেউ তখন হয়তো ধারণাও করেনি। এই কার্টুনের স্রষ্টা ছিলেন ওয়াল্ট ডিজনী। আজকে আমরা এই মানুষটি সম্পর্কে জানবো যিনি তার স্বপ্নকে অনুসরণ করে তৈরী করে গেছেন পৃথিবীতেই এক স্বপ্নের দুনিয়া।
ওয়াল্ট ডিজনী’র জন্ম ও বেড়ে ওঠা
ওয়াল্ট এলিয়াস ডিজনী ১৯০১ সালের ৫ই ডিসেম্বর, আমেরিকার শিকাগোর হারমোসায় জন্মগ্রহণ করেন। জার্মান ও ইংরেজ বংশোদ্ভূত এই পরিবারের চতুর্থ সন্তান ছিলেন তিনি। তার বয়স যখন চার তখন তার পুরো পরিবার আমেরিকার মিসৌরির মার্সেলিন নামক জায়গায় একটি ফার্মহাউজে চলে আসেন। এই মার্সেলিনেই ছবি আঁকার প্রতি ডিজনীর আগ্রহের শুরু হয় যখন তাদের প্রতিবেশি, একজন রিটায়ার্ড ডাক্তার তার ঘোড়ার ছবি আঁকার জন্য তাকে টাকা দেয়। সেসময় ‘আপিল টু রিজন’ নামের একটি পত্রিকা তাদের বাসায় নেয়া হতো, এটির ফ্রন্ট পেইজে রায়ান ওয়াকারের (১৯০০ সালের দিকের একজন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট) আঁকানো কার্টুন ছাপা হতো। ডিজনী এই কার্টুনগুলো দেখে আঁকাতেন এবং প্র্যাকটিস করতেন। এছাড়া ওয়াটার কালার ও ক্রেয়ন নিয়েও আঁকাআঁকিতে তিনি বেশ পটু হয়ে ওঠেন। ১৯০৯ সালে ডিজনী মিসৌরির পার্ক স্কুলে ভর্তি হন। ১৯১১ সালে ডিজনী ভর্তি হন মিসৌরির কানসাস শহরের বেন্টো গ্রামার স্কুলে যেখানে তিনি ওয়াল্টার ফিফার নামের এক ছাত্রের সাথে পরিচিত হন, যার পরিবার থিয়েটারের সাথে যুক্ত ছিল। তার মাধ্যমেই ডিজনী থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতের সাথে পরিচিত হন। এই কানসাস সিটিতে ডিজনীর বাবা এলিয়াস পত্রিকা বিক্রির একটি রুট কিনেছিলেন, ছয় বছর সেই রুটে ডিজনী ও তার ভাই রয় পত্রিকা সরবরাহ করতেন। সেসময় ডিজনীর জীবন ছিলো বেশ সংগ্রামের, সবকিছুর সাথে তাল মেলাতে গিয়ে ডিজনীর একাডেমিক রেজাল্ট বেশ খারাপ হতো। এ সময়ে তিনি কানসাস সিটি আর্ট স্কুলে কার্টুনিং এর উপর একটি কোর্সও করেন।
১৯১৭ সালে ডিজনী ম্যাকককিনলে হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং স্কুলের পত্রিকার কার্টুনিস্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়, তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দেশাত্ববোধক কার্টুন আঁকতেন। ১৯১৮ সালে তিনি জার্মানের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য আমেরিকান সেনাবাহিনীতে যোগদান করার চেষ্টা করেন, তবে বয়স কম হওয়ার কারণে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে জন্মের সাল পরিবর্তন করে রেড ক্রিসেন্ট এ অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে যোগদান করেন। যদিও যুদ্ধবিরতির পর নভেম্বরেই ফিরে আসেন তিনি। এ সময় তিনি অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে কার্টুন এঁকেছিলেন এটিকে সাজানোর জন্য। তাছাড়া সেনাবাহিনীর পত্রিকা স্টারস এন্ড স্ট্রাইপসেও তার কিছু কাজ সে সময় প্রকাশিত হয়। ১৯১৯ সালে পেসমেন-রুবিন কমার্শিয়াল আর্ট স্টুডিওতে শিক্ষানবিশ শিল্পী হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি বিজ্ঞাপন, থিয়েটার প্রোগ্রাম এবং বিভিন্ন ক্যাটালগ এর জন্য বাণিজ্যিকভাবে ছবি আঁকতেন। এসময় তিনি তার সহশিল্পী উব আইওয়ার্কসের সাথে পরিচিত হন।
অ্যানিমেশনের এক অনন্য জগৎ ও মিকি মাউস এর জন্ম
আর্ট স্টুডিওতে কাজ করাকালীন সময়ে ডিজনী ক্যামেরা ও হাতে আঁকা কার্টুনের অ্যানিমেশন নিয়ে নানারকম পরীক্ষা শুরু করেন। ১৯২০ সালে পেসমেন-রবিনের ইনকাম কমে যাওয়ায় তারা কর্মী ছাঁটাই শুরু করে, যার ফলে ডিজনী ও আইওয়ার্কসও ছাঁটাই হয়ে যান। ডিজনী আর আইওয়ার্কস নিজেদের ব্যবসা করার কথা চিন্তা করেন এবং ডিজনী-আইওয়ার্কস কমার্শিয়াল আর্টিস্ট নামে একটি কোম্পানী খুলেন। যদিও এটি খুব অল্প সময়ের জন্য ছিলো কারণ এই কোম্পানীটি খুব বেশি কাস্টমার পাচ্ছিলো না। পরবর্তীতে ডিজনী কানসাস সিটি ফিল্ম অ্যাড কোম্পানীতে যুক্ত হন যেখানে তিনি কাটআউট অ্যানিমেশনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন তৈরী করতেন। এ সময় ডিজনী ধার করা অ্যানিমেশনের উপর বই ও সেকেন্ডহ্যান্ড ক্যামেরা দিয়ে সেলুলয়েড অ্যানিমেশন নিয়ে ঘরে বসে বিভিন্ন পরীক্ষা চালান। যদিও তিনি সেসময় জনপ্রিয় হাতে আঁকা কার্টুন ‘আউট ইফ দ্যা ইংকওয়েল’ বা ‘ফেলিক্স দ্যা ক্যাট’ এর মতো কার্টুন বেশি পছন্দ করতেন।
ডিজনী নিজের ব্যবসা খোলার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অ্যাড কোম্পানি থেকে ফ্রেড হারম্যানকে প্রথম কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করেন। তাদের প্রধান গ্রাহক ছিলো স্থানীয় নিউম্যান থিয়েটার, তাদের তৈরী ছোট ছোট এই কার্টুনগুলো “নিউম্যান’স লাফ ও গ্রাম” (Newman’s Laugh-O-Gram) নামে বিক্রি হতো। ডিজনী এ সময় পল টেরির ঈশপের রূপকথাগুলোকে তার অ্যানিমেশনের মডেল হিসেবে নেন। তাই তার প্রথম ছয়টি অ্যানিমেশন ছিলো ঈশপের রূপকথার উপরে। জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ডিজনী নিজের স্টুডিও খোলেন। এই স্টুডিওর নামও দেন লাফ-ও-গ্রাম। এই স্টুডিওতে তিনি হারম্যানের ভাই হিউ, রুডলফ আইসিং এবং আইওয়ার্কস সহ আরো কয়েকজন অ্যানিমেটর নিয়োগ করেন। কিন্তু স্টুডিও থেকে তারা পর্যাপ্ত আয় করতে পারছিলেন না, ফলে ডিজনী অ্যানিমেশনের সাথে লাইভ অ্যাকশন যুক্ত করে ফিল্ম তৈরী করেন। এই সাড়ে ১২ মিনিটের একটি রিলের ছবিটি ছিলো এলিস’স ওয়ান্ডারল্যান্ড যা এলিস’স এডভেঞ্চার ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড বইটির উপর করা। এই ফিল্মটির নাম ভূমিকায় ছিলেন ভার্জিনিয়া ডেভিস। তবে এই ফিল্মটিও লাফ-ও-গ্রাম স্টুডিওকে বাঁচাতে পারেনি। ১৯২৩ সালে স্টুডিওটি দেউলিয়া হয়ে যায়।
এরপর ডিজনী ১৯২৩ সালের জুলাইতে হলিউডে চলে আসেন তার ভাই রয় এর কাছে। রয়ের ও লাইভ অ্যাকশন ফিল্ম ডিরেক্টর হওয়ার ইচ্ছা ছিলো। ডিজনী এলিসেস ওয়ান্ডারল্যান্ড বিক্রির অনেক চেষ্টা চালাচ্ছিলেন, ঠিক সেসময় নিউইয়র্কের চলচ্চিত্র পরিচালক মার্গারেট জে উইংকলারের কাছ থেকে সাড়া পান। মূলত তিনি আউট ইফ দ্যা ইংকওয়েল এবং ফেলিক্স দ্যা ক্যাটের কপিরাইট হারিয়ে ফেলছিলেন এবং তার নতুন শো এর প্রয়োজন ছিলো। ডিজনী ও মার্গারেট চুক্তিবদ্ধ হন এবং এলিসের শো ছয়টি পর্ব সহ এর তিনটি সিজন প্রচারের পরিকল্পনা করেন। ডিজনী এবং তার ভাই রয় মিলে ডিজনী ব্রাদার্স স্টুডিও তৈরী করেন যা আজকে ডিজনী ওয়াল্ট ডিজনী কোম্পানী নামেই পরিচিত। তারা ডেভিস ও আইওয়ার্কসকেও হলিউডে এনে স্টুডিওতে নিয়োগ করেন।
প্রথম অফিসিয়াল ওয়াল্ট ডিজনী স্টুডিও ১৯২৬ সালে হাইপেরিয়ন এভিনিউতে প্রতিষ্ঠিত হয় যা ১৯৪০ সালে ভেঙে ফেলা হয়। এই স্টুডিও থেকে এলিসের সিরিজটি চলে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত। তবে ডিজনীর এটি একঘেয়ে লাগছিলো, আর ডিজনী পুরোপুরি অ্যানিমেশন এর কাজ করতে চাচ্ছিলেন। আইওয়ার্কস এবং ডিজনী ‘অসওয়াল্ড দ্যা লাকি র্যাবিট’ নামের চরিত্রটি তৈরী করেন। এটি বিভিন্ন ঝামেলার কারণে বন্ধ হয়ে যায়, সেসময় ডিজনী ও আইওয়ার্কস একটি ছোট্ট দুষ্ট ও হাসিখুশি ইঁদুরের চরিত্র দাড় করান, যাকে তারা মিকি মাউস নাম দেন। তখনো চলচ্চিত্রে সাউন্ড ব্যবহার শুরু হয়নি। তাই প্রথম মিকি মাউস এর পরিচয় আমরা পাই নির্বাক কার্টুন “প্লেন ক্রেজি” (Plane Crazy) নামের একটি পর্বে। এরপরে মিকির “স্টিমবোট উইলি” (Steamboat Willie) হলো বিশ্বের সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ সিঙ্ক্রোনাইজড সাউন্ড কার্টুন যা ১৮ নভেম্বর ১৯২৮ সালে নিউইয়র্কের কলোনি থিয়েটারে প্রিমিয়ার হয়েছিলো। মিকি মাউস সেসময় প্রচন্ড সাড়া ফেলেছিল।
এরপর ডিজনী “সিলি সিম্ফনিজ” নামে একটি সিরিজ শুরু করেন, সেখানে স্কেলিটন ডান্স নামের একটি ছবি ছিলো যেটিতে একটি কঙ্কাল কবর থেকে উঠে এসে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাথে অদ্ভুতভাবে নাচত। এটি এই সিরিজটিকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যায়। সেসময় ডিজনী বুঝতে পারেন দর্শকেরা ছোট ছোট এসব প্রাণির কথা বলা হাঁটাচলা বা মানুষের মত করা কাজগুলোতে আগ্রহ ও বিনোদন পাচ্ছে। তাই একে একে আরো তৈরী হলো মিকির বান্ধবী মিনি, ডোনাল্ড ডাক, কুকুর প্লুটো ও গুফি। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ডিজনি নিজে মিকি মাউসের ভয়েস ওভার করতেন। ১৯৩৩ সালে ডিজনী একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেন “থ্রি লিটল পিগস” নামের, যেটি গ্রেট ডিপ্রেসন যুগের মাঝে পড়ে যায়। চারদিকে হতাশার সময়েও এই কার্টুনটি দর্শকদের মনে আনন্দের সঞ্চার করেছিলো এবং অর্থনৈতিক মন্দা থাকা স্বত্ত্বেও ডিজনী স্টুডিও এটি থেকে আয় শুরু করে।
পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের সূচনা ও ডিজনীর বিশ্বজয়
১৯৩৭ সালের ২১ শে ডিসেম্বর ডিজনী তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র “স্নো হোয়াইট এন্ড দ্যা সেভেন ড্রফস” (Snow White and the Seven Dwarfs) লস এঞ্জেলস এ প্রিমিয়ার করে। সেসময় বিশ্বের অনেক দেশেই ডিপ্রেশন যুগ বা ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দা চলছিলো। আশ্চর্যজনকভাবে এই চলচ্চিত্রটি সেই সময়েই ১.৪৯৯ মিলিয়ন ডলার আয় করে। এটি জিতেছিলো ৮ টি অস্কার। এটি ছিল ডিজনী স্টুডিওর শক্তভাবে দাঁড়ানোর ভীত। ১৯৪০ সালের মাঝামাঝি ডিজনী “প্যাকেজড ফিচার” চালু করে যা ছিল মূলত অনেকগুলো শর্ট ফিল্ম একসাথে যুক্ত করে তৈরী একটি পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য সিনেমা। তবে ১৯৫০ সালের মধ্যে তিনি আবার অ্যানিমেটেড সিনেমার দিকে ঝোঁকেন। তবে স্নোহোয়াইটের পর ডিজনীর আরেকটি বড় সাফল্য ছিলো “মেরী পপিনস”। ১৯৬৪ সালে নির্মিত লাইভ অ্যাকশন ও অ্যানিমেশনের সমন্বয়ে করা এই অসাধারণ চলচ্চিত্রটি ছিলো সে যুগের থেকে এগিয়ে থাকা একটি মাস্টারপিস। এছাড়াও এই সময়ের মাঝে নির্মিত পিনোকিও, সিন্ডেরেলা, ডাম্বো, ব্যাম্বি, ফ্যান্টাসিয়া, পিটার প্যান, ১০১ ডালমেসিয়ান, এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড, স্লিপিং বিউটি ইত্যাদি চলচ্চিত্রগুলো আজও সব বয়সী দর্শকদের মাঝে সমান জনপ্রিয়।
টিভিকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা প্রথম দিকের ব্যক্তিদের মধ্যে ডিজনী অন্যতম। জোরো, ডেভি ক্রোকেট সিরিজ এবং মিকি মাউস ক্লাব হাউজ সে সময় শিশুদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। রবিবার রাতের স্পেশাল শো, ওয়াল্ট ডিজনী’স ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড অফ কালার ও অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো৷ এই শো এর মাধ্যমেই ডিজনী তার থিম পার্কের প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
ডিজনীর নতুন বিশ্ব
ডিজনীর প্রথম থিম পার্ক বা ডিজনীল্যান্ড ১৯৫৫ সালের ১৭ জুলাই উদ্বোধন হয় ক্যালিফোর্নিয়াতে। সে সময় এটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ১৭ মিলিয়ন ডলার। খুব দ্রুতই এই পার্কটি শিশুদের এবং পরিবারসহ দারুণ সময় কাটানোর জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই থিম পার্কে নানারকম রাইডে চড়া ও ডিজনীর বিভিন্ন ক্যারেক্টারের সাথে দেখা করা যেত বলে শিশুদের জন্য এটি হয়ে ওঠে একটি স্বর্গরাজ্য। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকেও পর্যটক এখানে আসতে শুরু করে৷ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি নির্মাণ খরচের দশগুনের বেশি রেভিনিউ আয় করে। ফলশ্রুতিতে ডিজনী থিম পার্ক অরল্যান্ডো, ফ্লোরিডা, টোকিও, প্যারিস, হংকং, সাংহাইতেও ডিজনী থিম পার্ক বা ওয়াল্ট ডিজনী ওয়ার্ল্ড এর শাখা বানানো হয়। বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে ডিজনীর ১২ টি থিম পার্ক আছে৷ বর্তমানে ডিজনী স্টুডিও সারাবিশ্বে সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র তৈরীর একটি ক্ষেত্র। ডিজনী কোম্পানীর অধীনে মারভেল স্টুডিও, পিক্সার, টুয়েন্টি সেঞ্চুরি অ্যানিমেশন ও স্টুডিও, ওয়াল্ট ডিজনী পিকচার ও অ্যানিমেশন স্টুডিও ও সার্চলাইট পিকচারস এর মত বাঘা বাঘা সব স্টুডিও কাজ করে যাচ্ছে। বলা যায় অ্যানিমেশন ও লাইভ অ্যাকশন ফেইরী টেইল বা লাইভ অ্যাকশন অ্যানিমেশন সিনেমার সিংহভাগই ডিজনী স্টুডিও থেকে তৈরী হয়। বর্তমানে ডিজনী কোম্পানির মূল্য ২০৬.২৩ বিলিয়ন ডলার।
স্বপ্নকে ধারণ করা এই অসাধারণ মানুষটি ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৬ সালে লাংস ক্যান্সারে মারা যান। ওয়াল্ট ডিজনী কখনোই নিজের স্বপ্নকে ছেড়ে দেননি, বরং স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে বাস্তবে পরিণত করেছেন। তিনি খুব সহজে যেকোনো বয়সের মানুষের ভেতরের লুকিয়ে থাকা ছোট্ট মানুষটিকে বের করে আনতে পারতেন। একজন বুদ্ধিমান মার্চেন্ডাইজার এর পাশাপাশি তিনি মানুষকে খাঁটি বিনোদনও দিতে পারতেন।
ডিজনী সবসময় বলতেন, “আপনি যদি স্বপ্ন দেখতে পারেন, তবে আপনি তা অবশ্যই পূরণও করতে পারবেন।”