ক্রিয়েটিভ বা সৃজনশীলতা শব্দটি আসলেই আমাদের চিন্তায় প্রথমেই ধরা দেয় শিল্প বা শৈল্পিক বিষয়গুলো। এখন কেউ যদি বলে ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট, তাহলে মার্কেটিং এই বিষয়টি কী?
ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্টকে এক কথায় এভাবে বলা যায়, এটি হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে বিক্রির জন্য যথাযথ টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত একটি সৃজনশীল পরিকল্পনা যেটায় আপনার ব্র্যান্ডের সঠিক ম্যাসেজও সকলের কাছে পৌঁছে যায়। এটি মার্কেটিং এর একটি বেশ কার্যকরী একটি উপায়, বিশেষত সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বা SEM হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ যেখানে আপনি টাকার মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পপ আপ বিজ্ঞাপন, অথবা সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে কেউ সার্চ করলে আপনার পণ্য, ব্র্যান্ড বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন সবার আগে দেখান। সাধারণ মার্কেটিং এর মতো ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্টের লক্ষ্য একই- পণ্য বা সেবার বিক্রি, ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করা। তবে বলাই বাহুল্য যে, সাধারণ মার্কেটিং এর চেয়ে ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট সৃজনশীলতাকে গুরুত্ব দেয় বেশি। এই সৃজনশীল প্রক্রিয়াগুলো আপনার অডিয়েন্সদের দিতে পারে দারুণ অভিজ্ঞতা, তাদেরকে অভিভূত করতে পারে এবং আপনার ব্র্যান্ডের সাথে আরো বেশি যোগাযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে। এই সৃজনশীল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আপনার মার্কেটিংকে আরো উন্নত করে। আপনার ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠা করতে এবং অনন্য করে তুলতে ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট এর কোনো তুলনা নেই।
বিজনেসের জন্য ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট কেন দরকার?
আমরা সারাদিনে অসংখ্য বিজ্ঞাপন দেখে থাকি, অসংখ্য পণ্যের অথবা সেবার। তার মধ্যে ঠিক কয়টা আমাদের মনে থাকে? ধরুন ৯০ দশকের একটি বিজ্ঞাপন এর কথা বললে আপনার মনের চিত্রপটে কোন বিজ্ঞাপনটি ভেসে ওঠে? অসাধারণ জিঙ্গেল ও নিশ্চয় পরিচিত কিছু মুখ? এত বছর পরেও ৩০ সেকেন্ডের এই যে একটি বিজ্ঞাপনের কথা আপনার স্মৃতিতে আছে- এটি ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্টের অবদান। হয়তো সেই পণ্যটিও এখন আর বাজারে পাওয়া যাবে না, তবুও সেই পণ্য, তার নাম ও ব্র্যান্ড যে আপনি মনে রেখেছেন এটিই ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং এর সফলতা। নিজের ব্র্যান্ডকে নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকলে ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট এর স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী মার্কেটিং করা উচিত। যেকোনো ব্র্যান্ডকে অডিয়েন্সের মনে দীর্ঘস্থায়ী জায়গা করে দিতে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং এর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে একটি পণ্যের বিপরীতে আছে হাজারটা পণ্য, কাস্টমারের জন্য আছে হাজার হাজার অপশন, এত প্রতিযোগীতার স্রোতে নিজের ব্র্যান্ড টিকিয়ে রাখতে গেলে অবশ্যই আর সবার চেয়ে আলাদা হতে হবে। তাই ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট এর ব্যবহারও বাড়ছে দিন দিন। নিচে আমরা এটির সম্পর্কে আরো একটু ভালোভাবে জানবো।
১) আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরিতে
ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরির সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। ধরুন আপনি যে পণ্যটি নিয়ে কাজ করেন একই পণ্য নিয়ে বাজারে আরো তিন জন কাজ করে। সেক্ষেত্রে আপনার বিজ্ঞাপন, প্রচারের মাধ্যম যদি অন্য সবার থেকে আলাদা হয়, তবেই এটি অনেক বেশি কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আপনাকে নতুন, অভিনব কিছু করতে হবে যেন সেটি অডিয়েন্সের মনে সাড়া জাগায়। সময়ের সাথে সাথে যদি আপনি সৃজনশীল হন এবং চমকপ্রদভাবে অডিয়েন্সকে সব সময় আকৃষ্ট করে রাখতে পারেন, তাহলে আপনার মতো একই ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করলেও সবাই আপনার ব্র্যান্ডটিকেই মনে রাখবে।
২) অডিয়েন্সের সাথে দৃঢ় যোগাযোগ
যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে টার্গেট অডিয়েন্স বা কাস্টমার হলো প্রাণ। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী চাহিদা মেটানো, অথবা নিজের পণ্যের জন্য টার্গেট অডিয়েন্স তৈরি করা মার্কেটিং এর প্রধান লক্ষ্য। এক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং অত্যন্ত কার্যকরী। প্রচার বা বিজ্ঞাপনের সৃজনশীল পদ্ধতি আপনার অডিয়েন্সের সাথে আরো ভালোভাবে বোঝার ও জড়িত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। একটি ক্রিয়েটিভ আইডিয়ার মাধ্যমে আপনি যদি আপনার অডিয়েন্সের মনে জায়গা করে নিতে পারেন, তাদের আবেগের সাথে যুক্ত হতে পারেন তবে এটি আপনার জন্য একটি বড় সফলতা। আপনি আপনার গ্রাহকদের মতামত, অনুভূতি ও চাহিদার ধারণা পেতে তাদের সাথে যোগাযোগের নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করতে পারেন। অডিয়েন্স কী চাচ্ছেন এ সম্পর্কে ভালো ও স্পষ্ট ধারণা থাকলে আপনি আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং সমাধান করতে পারবেন।
৩) নতুন নতুন আইডিয়া তৈরিতে
আপনি ও আপনার মার্কেটিং টিম যদি আপনাদের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিতে সৃজনশীলতা যুক্ত করেন তাহলে নতুন নতুন প্রচারণার জন্য আইডিয়া তৈরি হবে। বিজ্ঞাপন, নানারকম ক্যাম্পেইন ইত্যাদির নতুন ও চমকপ্রদ আইডিয়ার মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড এর প্রচারণার আরো বেশি প্রসার ঘটবে। নতুন আইডিয়া তৈরির এই কৌশলটি আপনার মার্কেটিং টিমকে যেমন কাজের অনুপ্রেরণা যোগাবে, তেমন সাফল্য ও পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে। আপনি যদি এই সৃজনশীল আইডিয়াগুলোকে একবার আপনার টিমের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন, তবে খেয়াল করে দেখবেন যে আস্তে আস্তে পুরো টিমটি আরো অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে উঠেছে।
৪) মূল্যবান সম্পদ সংরক্ষণ
আপনার মার্কেটিং এ সৃজনশীলতা যুক্ত করার মাধ্যমে আপনি আপনার মূল্যবান কিছু সম্পদও সঞ্চয় করতে পারেন, যেমন বিজ্ঞাপন বা প্রচারণার খরচ। অনেক সময় দেখা যায় যে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা চালাতে গেলে যতটা খরচ হয়, একটু অন্যভাবে সৃজনশীল উপায়ে করলে সেটি খরচ বাঁচানোর সাথে সাথে বেশ আকর্ষণীয়ও হয়। যদি আপনি এমন কোনো বিজ্ঞাপন বা প্রচারণার স্ট্র্যাটেজি বের করতে পারেন যেটি আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে আকৃষ্ট করে, তাহলে আপনি সফল হবেন। কারণ এরকম স্ট্র্যাটেজিতে অর্গানিকভাবেই এই বিজ্ঞাপন বা প্রচারণাগুলো গ্রাহক আকৃষ্ট করবে, বার বার নতুন করে প্রচার প্রচারণার খরচ থেকে মুক্তি পাবেন। আপনি সৃজনশীল বিভিন্ন আইডিয়া যত বেশি প্রয়োগ করবেন আপনার মার্কেটিং তত বেশি সফলতার দিকে যাবে।
৫) কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
ডাটা অ্যানালাইসিস ও ক্রিয়েটিভিটি একত্রে আপনার মার্কেটিং ও ব্যবসার কর্মক্ষমতা কয়েকগুন বৃদ্ধি করতে পারে। আপনার টিম বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ অ্যাড, ক্যাম্পেইন ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই বুঝতে পারবে যে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কোন ধরনের আইডিয়া পছন্দ করছে। সময়ের সাথে সাথে আপনি বুঝতে পারবেন ঠিক কোন ধরনের পণ্য, বিজ্ঞাপন অথবা ক্যাম্পেইন আপনার অডিয়েন্স পছন্দ করছে। ফলে আপনার জন্য ব্যবসায়ের স্ট্র্যাটেজি পরিকল্পনা করা সোজা হবে। তাছাড়া কাস্টমারের পছন্দ অপছন্দ ভালোভাবে জানতে পারলে পণ্য বিক্রিও আপনার জন্য সহজ হবে।
ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট কীভাবে করবেন?
ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট বা ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা তো জানলাম এখন এটি কীভাবে করা যায়? কীভাবে করলে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে? ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, ব্র্যান্ড ও উদ্দ্যেশ্যের সাথে মৌলিকতা ও ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং এর জন্য আপনি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। আসুন আমরা কয়েকটি এমন উপায় জেনে নিই।
১) অনুপ্রেরণা খুঁজুন
ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনি অনুপ্রেরণা খুঁজে বের করুন। আশেপাশে খেয়াল করুন, নতুন আকর্ষণীয় আইডিয়া খুঁজুন। বিপুলভাবে সফল হওয়া বিজ্ঞাপন, ক্যাম্পেইন কিংবা প্রচারণা ভালোভাবে খেয়াল করুন, গবেষণা করুন কেন সেগুলো সফল হয়েছে বা গ্রাহক আকৃষ্ট করতে পেরেছে। অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলো কী করছে তা খেয়াল করুন। বিভিন্ন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞ, ক্রিয়েটিভ মার্কেটারদের সাথে যোগাযোগ করুন, মিটিং করুন এবং আরো বেশি জানার চেষ্টা করুন। আপনাকে ও আপনার টিমকে অনুপ্রাণিত করে এমন সব আইডিয়া, পরিকল্পনা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন ও পরিকল্পনা করুন কীভাবে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং শুরু করা যেতে পারে।
২) একটি চ্যালেঞ্জের উপর ফোকাস করুন
একটি স্ট্র্যাটেজি আপনি যেটি কাজে লাগাতে পারেন তা হলো আপনি ও আপনার টিম সমস্যা ও ডাটাগুলোকে গুছিয়ে নিয়ে ক্রমানুযায়ী কাজ করতে পারেন। একটি লক্ষ্য একটি সময়ে পূরণ করা- হতে পারে দ্রুত কাজ করার একটি দারুণ উপায়। ধরুন আপনার একটি পণ্য বিভিন্ন বয়সের টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার টিমকে ভাগ করে দিতে পারেন বয়সের গ্রুপ অনুযায়ী। একেক গ্রুপ একেকটি বয়সের অডিয়েন্সের কাছে পণ্যের প্রচারের জন্য সৃজনশীল প্রচারণার আইডিয়া দিতে পারবে। একটি সময়ে একটি চ্যালেঞ্জের উপর ফোকাস করা ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং সামলাতে যেমন সাহায্য করবে, তেমন আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিও পুরোপুরি বদলে ফেলবে।
৩) সহযোগী তৈরি করুন
অন্যের সৃজনশীলতা ব্যবহার করে নতুন ধারণা তৈরি করাটাও একটি দারুণ উপায়। আপনি আপনার নিজস্ব সার্কেলের বাইরেও অন্যান্য অনেকের কাছ থেকে আইডিয়া পেতে পারেন। বিভিন্ন মার্কেটিং সংস্থা, ব্র্যান্ড ও এ ধরনের কাজের সাথে জড়িতদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং কথা বলে জানতে পারেন এমন সব বিষয় বা ধারণা সম্পর্কে, যা হয়তো আপনি আগে ভাবেননি অথবা যা আরো বেশি কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে পারবে। আপনি নতুন স্ট্র্যাটেজির কথা ভাবতে পারেন যার মাধ্যমে অন্য সফল কোনো ব্র্যান্ড বা মার্কেটিং এর সাথে কোলাবোরেট করে, তাদের কোনো সৃজনশীল আইডিয়ার সাথে নিজের আইডিয়া মিলিয়ে সম্পূর্ণ নতুন কোনো সফল আইডিয়া তৈরি করতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের আরো অনেকের সাথে সখ্যতা করতে পারেন যেন আপনার আইডিয়াগুলোকে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারেন।
৪) পুরো প্রসেসে নজর দিন
আরেকটি কার্যকর উপায় হলো পুরো প্রসেস বিশ্লেষণ করা। মার্কেটিং এ সৃজনশীলতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সবার আগে খেয়াল করুন পুরো প্রসেসে অর্থাৎ আপনার অডিয়েন্সের পুরো এক্সপেরিয়েন্সের দিকে নজর দিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। আপনার পণ্য তৈরি থেকে শুরু করে সেটি কেনা পর্যন্ত আপনার অডিয়েন্স কী চাচ্ছে, কীভাবে চাচ্ছে তার সব চাহিদা ঠিকমতো মিটছে কি না আপনার পণ্যের মাধ্যমে। প্রতিটি দিক সম্পর্কে সৃজনশীলভাবে চিন্তা করে কোন কোন ক্ষেত্রকে হাইলাইট করতে হবে তা চিহ্নিত করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার সৃজনশীল মার্কেটিংকে আরো উন্নত করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে, ডাটা অ্যানালাইসিস করে কোন কোন ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা প্রয়োগ করতে পারবেন তাও চিহ্নিত করতে পারেন।
৫) আপনার কাজের ধরন বদলান
আপনি যদি অনেকদিন ধরে মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যুক্ত থাকেন, তাহলে আপনার অভিজ্ঞতার সাথে সাথে কাজের একটি নির্দিষ্ট ধরন থাকতে পারে। কিন্তু মার্কেটিং এ সৃজনশীলতা আনতে গেলে আপনাকে অনেক নমনীয় হতে হবে। আপনাকে যেকোনো আইডিয়া মেনে নিয়ে পরিকল্পনা করে সেই অনুযায়ী কাজ করার মত মানসিকতা ও দক্ষতা তৈরি করতে হবে। বাজারের চাহিদা পরিবর্তনের সাথে আপনার টিম নতুন নতুন আইডিয়া সৃষ্টি করতে পারে, সেটি বিশ্লেষণ করে কাজে লাগানোই আপনার কাজ। আপনি যদি এমন কোনো বিজ্ঞাপন বা প্রচার পদ্ধতি তৈরি করতে পারেন যা সাধারণত এর আগে আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ড থেকে করা হয়নি তাহলেই ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট এর সফলতা উপভোগ করতে পারবেন।
৬) মনে স্থায়ীত্ব তৈরি করার উপর ফোকাস করুন
আপনি যখন সৃজনশীল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন তখন আপনার দর্শকদের মনে স্থায়ীত্ব তৈরি করার দিকে ফোকাস করুন। যদি আপনি এমন কোনো বিজ্ঞাপন বা ক্যাম্পেইন করতে পারেন যেটি দীর্ঘদিন আপনার গ্রাহকদের মনে থাকবে, তাহলেই ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। ফোকাস করুন এমন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যেটি আপনার ব্র্যান্ডের ম্যাসেজ দেয়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণ নতুন একটি উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। যেহেতু অডিয়েন্স প্রতিদিন হাজার হাজার বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার সাথে ইন্টার্যাক্ট করে, তাই আপনি যদি সবার থেকে অনন্য কোনো বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন, তাহলে আপনার ব্র্যান্ডকে চেনানো সহজ হয়ে উঠবে। আপনি যখন একটি আসল, সৃজনশীল বিজ্ঞাপন বা ক্যাম্পেইন তৈরি করেন যেটি দর্শকদের মনে স্থায়ীত্ব তৈরির উপর ফোকাস করে, তাহলে সেটি আপনার দর্শকদের মনে স্থায়ীত্ব তৈরির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে পণ্যের বিক্রি ও পরিচিতি নিশ্চিত করে।
মার্কেটিং এ ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট একটি সম্ভাবনাময় বিষয়। এর ক্ষেত্র যেমন বড় তেমন সফলতার সম্ভাবনাও বেশি। সঠিকভাবে এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারলে আপনার ব্র্যান্ডকে একটি যুগান্তকারী ব্র্যান্ড হিসবে প্রতিষ্ঠা করতে এটির কোনো তুলনা নেই। তাই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে পরিকল্পনায় সৃজনশীলতাকে যুক্ত করুন।