“এক পয়সা বাঁচানো মানে এক পয়সা উপার্জন” – বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন। টাকা জমানো দরকারি, এটা আমরা সবাই জানি। আমাদের জীবনে চলতে ফিরতে প্রতিদিনই টাকার দরকার হয়। তাই আমরা চেষ্টা করি টাকা বাঁচানোর। কিন্তু কতটুকু পারছি? বিভিন্ন খাতে বিভিন্নভাবে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়েই যায়। ইমার্জেন্সি, রিটায়ারমেন্ট অথবা বড় কোনো খরচের জন্য আমরা টাকা জমানোর চেষ্টা করি। কিন্তু প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়, যা আসলে চেষ্টা করলে কমানো যায়। আমাদের ডে টু ডে লাইফে খরচ বাঁচানোর কিছু টিপস ও ট্রিকস আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে খুব ছোট এবং গুরুত্বহীন মনে হতে পারে, কিন্তু বিন্দু বিন্দু জল জমে সাগরের সৃষ্টি।
মানি সেভিং করবেন কীভাবে?
১) খরচের হিসাব রাখুন
টাকা বাঁচানোর একদম প্রথম ধাপ হচ্ছে খরচের হিসাব করা। কোথায় কোথায় খরচ হচ্ছে তা চোখের সামনে লেখা থাকলে এসব করতে খুব সুবিধা হয়। এ কাজে নোটবুক অথবা মোবাইলের অ্যাপ এমন কিছু ব্যবহার করতে পারেন। চোখের সামনে দেখলে অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দেয়া সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া কোন কোন খাতে খরচ কমানো বাড়ানো প্রয়োজন দরকার তাও বোঝা যায়। একই সাথে আরেকটা জিনিস যেটা করবেন সেটা হচ্ছে ইনভেন্টরি লিস্ট, এর মানে হলো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কয়টা কী পরিমাণে কেনা হলো তার তালিকা। এর ফলে কোনো জিনিসে দুইবার খরচ হবে না, শেষ হওয়ার আগে কিনে ফেলে নষ্টও হবে না। প্রতি মাসে ইনভেন্টরি লিস্ট চেক করে প্রয়োজনীয় জিনিস রিস্টক করে ফেললে পরবর্তীতে ছোটখাট প্রয়োজন ও ঝামেলা এড়ানো যায়।
২) হাঁটুন ও সাইকেল ব্যবহার করুন
কখন দূরত্বের রাস্তায় চেষ্টা করুন হাঁটতে। এতে একই সাথে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে আবার খরচও কমবে। হাঁটার পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন সাইকেলও। সাইকেলে চাকায় হাওয়া ভরা ছাড়া অন্য কিছু প্রয়োজন হয় না, এতে জ্বালানির খরচও বাঁচে। এছাড়াও কোনো প্রকারের তেল বা গ্যাস ব্যবহার না করায় কালো ধোঁয়া বা বিষাক্ত ধাতু নির্গত হয় না, যা পরিবেশবান্ধব। ছোট ছোট এমাউন্টে রিকশা ভাড়া এড়াতে এটা খুবই কার্যকরী পদ্ধতি একই সাথে শারীরিক পরিশ্রম হওয়ায় স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। এছাড়াও বেশি দূরত্বের জার্নিতে সিএনজি বা পার্সোনাল গাড়ি, ট্যাক্সি এসব ব্যবহার না করে লোকাল বাসে চড়ার চেষ্টা করুন। খরচ এতে অনেক কমে আসে। পার্সোনাল গাড়ির ড্রাইভার খরচ, তেল বা গ্যাসের খরচ, মেইনটিনেন্স, পার্কিং ফি এসবও বেঁচে যায়৷
৩) খরচ ভাগাভাগি করে নিন
আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই পরিবারের সাথে থাকে। সাধারণত মা বাবা অথবা পার্টনারের সাথে। এক্ষেত্রে এমনভাবে সংসার ম্যানেজ করতে পারেন যাতে সম্পূর্ণ খরচের চাপ একজনের উপরে না পড়ে। দুই বা তার বেশি আর্নিং মেম্বার থাকলে ভালো হয়। তা সম্ভব না হলে টুকটাক ফ্রিল্যান্সিং, টিউশনি, স্মল বিজনেস ইত্যাদি করে কিছুটা হলেও আর্থিক চাপ কমানো যায়। আপনি যদি একা থাকেন তাহলে শর্তসাপেক্ষে রুমমেট অথবা ফ্ল্যাটমেট নিতে পারেন। এতে পুরো খরচ আপনার একার বইতে হবে না।
৪) টার্গেট করে জমান
একটা টার্গেট সেট করা আমাদের যে কোনো কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। মনের মধ্যে বা খাতায় কলমে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট প্রতিমাসে জমানোর টার্গেট করে নিন। “যেভাবেই হোক এর কম জমানো যাবে না” এরকম টার্গেট থাকলে টাকা জমানোর গতি টার্গেট ছাড়া যখন মন চায় তখন জমানোর চাইতে ভালো হবে।
৫) ফ্রি রিসোর্সের ব্যবহার করুন
অনলাইনে অনেক সেবা বা সার্ভিসই ফ্রি ট্রায়াল অথবা স্যাম্পল ইউজ এর সুবিধা দেয় সেই সুবিধা কাজে লাগান। কোনো ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করার আগে অবশ্যই ফ্রি ট্রায়াল চেক করে নিন। কুপন কোড ব্যবহার করুন। ফুল সাইজের কসমেটিক না কিনে প্রথমে টেস্টার ব্যবহার করে দেখুন। এর ফলে অপচয় কম হবে এবং আপনার প্রয়োজন নেই অথবা আপনার সাথে যাচ্ছে না এমন জিনিসপত্রের পিছনে টাকা খরচ হবে না। অনেকগুলো বই না কিনে পাবলিক লাইব্রেরীতে কার্ড করে নিন। বিভিন্ন ক্লাবের ফ্রি ট্রেনিংগুলোয় জয়েন করুন। এতে একদিকে স্কিল বাড়বে, সাথে অভিজ্ঞতাও হবে। দামি ফিটনেস ডিভাইস না কিনে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ অথবা পাবলিক পার্ক ব্যবহার করতে পারেন। এইসব ছোট ছোট কস্টিং এ কাট আপনার সেভিংসে বড় করবে।
৬) ব্র্যান্ড এড়িয়ে চলুন
ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র এক্সক্লুসিভ ও স্পেশাল এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু যখন আমরা খরচ কমানোর চিন্তাভাবনা করছি, তখন ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র এড়িয়ে চলতে হবে, সেটা হোক কাপড়-চোপড় অথবা গ্রোসারি। ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র আমরা শুধুমাত্র পণ্যের দাম নয়, তার প্রচারণার দামও দিয়ে থাকি। তাই বড় ব্র্যান্ড এড়িয়ে লোকাল ব্র্যান্ড অথবা স্টোর ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র কেনা অভ্যাস করুন। খাবার অথবা ব্যবহারের জিনিসের ক্ষেত্রে প্যাকেটে ইনগ্রেডিয়েন্ট দেখে নিন। দেখা যাবে একই ইনগ্রেডিয়েন্টে তৈরি একই জিনিস ভালো ব্র্যান্ডের দাম একটু বেশি। একটু দেখেশুনে কেনাকাটা করতে পারলেই এড়িয়ে চলতে পারবেন এসব অতিরিক্ত খরচ।
৭) ফাস্ট ফ্যাশন বর্জন করুন
আমরা সবাই জানি বর্তমান যুগ হচ্ছে ফাস্ট ফ্যাশনের যুগ। ফ্যাশন বলতে বোঝায় যেসব জামা কাপড় বা স্টাইল খুব দ্রুত ট্রেন্ডের বাইরে চলে যায়। ফাস্ট ফ্যাশনের কাপড়ের কোয়ালিটি হয় চলনসই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সেই পোশাকটা ব্যবহৃত হয় খুব কম সময়ের জন্য। দাম খুব বেশি না হওয়ায় বিক্রিও প্রচুর। কিন্তু এতে অপচয় বাড়ে এবং প্রচুর পোশাক বর্জ্যের সৃষ্টি হয়। ফাস্ট ফ্যাশনে খুব দ্রুত আউট অফ স্টাইল হয়ে যাওয়া জামা কাপড়ের স্থান হয় ডাস্টবিনে এবং খুব ঘনঘন নতুন স্টাইল পারচেজ করার কারণে টাকা খরচের হার ও বেড়ে যায়। এছাড়াও এটি পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পোশাক উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন পানি, গ্যাস, জ্বালানি, গাছপালা ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এত অল্প ব্যবহার করে এত দ্রুত ফেলে দেওয়ার কারণে সেই সব সম্পদেরও অপচয় হয়।
ফাস্ট ফ্যাশনের পাল্লায় পড়ে অতিরিক্ত জামা কাপড় কেনা থেকে বিরত থাকুন। দেখে শুনে প্রয়োজন অনুযায়ী ভালো জামা কাপড় কিনুন। একটি পোশাক যাতে অনেকবার ব্যবহার করা যায় এমনভাবে কিনুন। যত্ন করে ব্যবহার করলে পছন্দের পোশাকটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন। এতে যেমন খরচ বাঁচবে, অপচয় কম হবে, তেমনি পরিবেশের জন্যও উপকারী।
৮) লোকাল সোর্সিং করতে শিখুন
কিছু কিছু পণ্য আছে যা একটু খুঁজলেই আশেপাশেই পাওয়া যায়। কিন্তু সুপার মার্কেট অথবা মলে দাম বেশি হয়ে থাকে। সুপার মার্কেট বা মলগুলোতে পণ্যের একচুয়াল কস্ট এর সাথে অন্য অনেকগুলো কস্ট যুক্ত হয়। তাই সেখানে দাম একটু বেশি পড়তে পারে। লোকাল হাট, বাজার, ভ্যান ইত্যাদি জায়গায় আপনি সেম জিনিসই কম দামে পেতে পারেন। প্রায় সব এলাকাতেই সপ্তাহের একটি বা দুটি বিশেষ দিনে হাট বসার ব্যবস্থা থাকে। হাটে এলাকার মানুষেরা তাদের নিজস্ব পণ্য বিক্রি করতে আনেন। সেদিন দাম কম থাকে এবং তুলনামূলক মানে ভালো পণ্য পাওয়া যায়, তুলনা করে দেখারও অনেক সুযোগ থাকে। তাই খোঁজখবর নিয়ে নিজের সুবিধা মত হাট অথবা এলাকার বাজারে কেনাকাটা করে দেখুন।
৯) হোলসেল পণ্য কিনুন
যেসব জিনিসপত্রের অনেকদিন মেয়াদ থাকে, সহজে নষ্ট হয় না, অনেকদিন পর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়, সে ধরনের জিনিসপত্র পাইকারিতে কিনে রাখতে পারেন। পাইকারি দাম খুচরা দামের চাইতে প্রায় অর্ধেক হয় এক্ষেত্রে খুচরা দোকান থেকে না কিনে সরাসরি পাইকারি বাজার অথবা ডিলারের কাছ থেকে ইউনিট হিসেবে চেষ্টা করুন। কাপড় ধোয়ার সাবান, ডিটারজেন্ট, টিস্যু ও টয়লেট পেপার, শুকনা খাবার যেমন বাদাম, পাস্তা, টিনজাত খাবার, চা কফি ইত্যাদি পাইকারিতে কিনে রাখলে দামও কম পড়বে আর হুটহাট শেষ হয়ে যাওয়ার বিপদেও পড়তে হবে না।
১০) ডিক্লাটার ও থ্রিফটিং করুন
পুরনো, একবার ব্যবহৃত অথবা শুধু কেনা হয়েছে বলেই কোনো জিনিস বাতিল বা ফেলনা হয়ে যায় না। ডিক্লাটার ও থ্রিফটিং খরচ বাঁচায়, অপচয় কমায় এবং ব্যবহারের যোগ্য জিনিসপত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করে। ঘরে কোনো জিনিস পড়ে আছে, ব্যবহৃত হচ্ছে না, কাজে লাগছে না এমন জিনিসপত্র ডিক্লাটার করে ফেলুন। ডিক্লাটার মানে শুধুমাত্র জিনিস বিক্রি নয়, দান করে দেওয়া, উপহার দিয়ে দেয়া, সর্বোপরি অব্যবহৃত জিনিসপত্র সরিয়ে ঘরে জায়গা খালি করা হচ্ছে ডিক্লাটারিং এর মূল উদ্দেশ্য।
একইভাবে পুরনো হলেই বাতিল হয়ে যায় না এ কথা মনে রেখে থ্রিফটিং এ আগ্রহী হতে পারেন। অনেক থ্রিফট শপেই একবার বা দুবার ব্যবহৃত বেশ ভালো ভালো জিনিসপত্র পাওয়া যায়। কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স যার মেয়াদ এখনো আছে, গয়নাগাটি যা নতুনের মতোই আছে, আসবাবপত্র, ঘর সাজানোর উপকরণ, টুলস, বই, ল্যাম্প ইত্যাদি জিনিসপত্র দোকান থেকে নতুন কেনার চাইতে থ্রিফট শপিং এ কিনলে বেশ ভালো ডিল পাওয়া যায়। এতে করে একটা জিনিস তার মেয়াদ পর্যন্ত ব্যবহৃত হয় এবং অতিরিক্ত খরচ করা ছাড়াই আপনার প্রয়োজনও মেটে।
১১) বাগান করুন
আপনার যদি ঘরের সামনে বা পেছনে খালি জায়গা, বারান্দা, অথবা ছাদে জায়গা থাকে তাহলে ছোট করে করে ফেলতে পারেন সবজি ও ফলের বাগান। এখন মোটামুটি দশটার মতো টব নিয়ে, বা কয়েক বর্গফুট জায়গা থেকে বেশ ভালো সবজির বাগান করে ফেলা যায়। টমেটো, মরিচ, বেগুন, আলু, লাউ, কুমড়া, পুদিনা পাতা, বিভিন্ন জাতের শাক এবং আরো কিছু মসলা খুব অল্প পরিশ্রমে এবং ছোট জায়গাতেই বেশ ভালো ফলন দেয়। কলা, পেঁপে, স্ট্রবেরি এ ধরনের কিছু ফলও কম পরিশ্রমে ছোট জায়গায় করা যায়। নিজের বাগানে উৎপাদিত সবজি ও ফল একদিকে আপনার খরচ কমাবে, আরেক দিকে আপনি নিজের ফলানো বিষমুক্ত তাজা সবজি ও ফল খেতে পারবেন।
১২) বাইরে খাওয়া কমিয়ে দিন
আমরা অনেক সময় রান্না করার ঝামেলা এড়াতে অথবা বাইরে থাকায় সুযোগের অভাবে বাইরে ও রেস্টুরেন্টে খেয়ে থাকি। রেস্টুরেন্টে খাওয়াটা বেশ খরচসাধ্য। বেশিরভাগ সময় রেস্টুরেন্ট এর খাবার কম খরচে কম উপাদানে বাসাতেই বানানো যায় এবং তা রেস্টুরেন্টের খাবারের চাইতে স্বাস্থ্যসম্মত হয়। তাই বাইরে খাওয়া কমিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করুন ঘরেই রান্নাবান্না করতে। যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে থাকতে হয়, তাহলে ঘর থেকে খাবার প্যাক করে নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে একদিকে খরচ বাঁচবে, অন্যদিকে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।
১৩) টুকটাক রিপেয়ার শিখে নিন
ছোটখাটো ইলেকট্রনিক বা মেকানিক জিনিসপত্র প্রায়ই বিগড়ে গেলে আমরা ফেলে দিই। নিজেই শিখে নিতে পারেন টুকটাক রিপেয়ারিং এরপর জিনিসপত্র ফেলে দেওয়ার আগে নিজেই ঠিক করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব ছোট সমস্যা থেকে জিনিসপত্র নষ্ট হয়। কাজ জানা থাকলে ওটুকু সমস্যা নিজেই সমাধান করে ফেলা যায়। হাত ঘড়ি, দেয়াল ঘড়ি, জুতা, খেলনা, হালকা গয়নাগাটি, ফার্ণিচার ইত্যাদি বেশিরভাগ সময় প্লায়ার্স এবং হাতুড়ি পেরেকের সাহায্যে ঠিক করে ফেলা যায়। এ ধরনের ছোটখাটো রিপেয়ারের জন্য জিনিস ফেলে না দিয়ে একটু ঠিক করে নিয়ে কাজে লাগালে অনেকটা খরচ বেচে যায়।
জীবনের চলার পথে এই টুকটাক মানি সেভিং টিপস আর ট্রিকস দিনশেষে আপনাকে যেমন অনেকটা খরচ বাঁচাতে সাহায্য করবে, তেমনি আপনার নিজের উপর কন্ট্রোল এনে আপনার মানসিকতা দৃঢ় করতে সাহায্য করবে। এই অভ্যাসগুলো অপ্রয়োজনীয় খরচ কমায়, যাতে আপনি টাকা জমাতে পারেন এবং নিজের বড় কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন।